পাখির চোখে ভয়

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

আশরাফ উদ্‌দীন আহ্‌মদ
-বাবাহ! যা ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন... -ভয়! মেয়েটি বেঞ্চ থেকে ওঠে বসে এবার। -বসুন, বসুন, আরেকটু বিশ্রাম দরকার। এত শিগগির ওঠার কি আছে, সকাল তো সবে সাতটা... ধবধবে শুভ্র মেয়েটির ঠোঁটে একচিলতে শরতের রোদের মতো হাসির রেশ চিকচিক করে জ্বলছে তখন। জায়গাটা যে একটা মেডিকেল সেন্টার, চারদিক তাকিয়ে অনুমান করে ফেলে সাধনা। মফস্বলের একটা ছোটোখাটো চিকিৎসালয়। ডাক্তার নার্স ওয়ার্ডবয় মিলিয়ে বেশ কয়েকজন তার সামনে দাঁড়িয়ে। সবার চোখে কৌতূহল, সাধনার চোখেও বিস্ময়। সত্যিই একটা কিছু হয়ে গেছে আন্দাজ করা যায়। সামনে দাঁড়ানো মানুষকে কেমন যেন বড় বেশি আপন-আপন মনে হয়। সবাই বেশ প্রাণবন্ত। জানালার শার্শি ভেদ করে হেমন্তের মনকাড়া রোদ শরীর মন জুড়িয়ে দেয়। -আপনারা আমার সেবা করেছেন বলেই একরাত্রি কষ্ট পেয়েই ভালো হয়ে গেছি। -সেবা কি বলছেন, সেবা তো আমাদের কর্তব্য... আপনি সারারাত্রি... -আচ্ছা আমার কি হয়েছিল! -মঞ্চে নাচতে-নাচতে মাথা ঘুরে... -তারপর কি রাত্রে শো বন্ধ হয়ে যায়... -না না তা হবে কেন, শো চালিয়ে যায় অন্যসব ... -প্রিন্সেসরা... -হঁ্যা-হঁ্যা ঠিক তাই। -যাক তাহলে হাঁপাটা সামলেছে। ইকবাল বাহারের কথাটা কেড়ে নিয়ে সাধনা জুড়ে দেয় তার কথা। তারপর ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, ভালো, দর্শক নিলেই ভালো... সাধনার শেষ কথাটুকু ভালো লাগে না ইকবাল বাহারের, হতাশভরা স্বরে কি একটা কষ্ট মেশানো। কিসের এত যন্ত্রণা বুকের মধ্যে পুষে রেখেছে মেয়ে মানুষটা। বুঝতে পারে না কোনোভাবে। কিন্তু ধরতে পারে কিছু একটা। মানুষের ভেতরের অন্ধকারের গল্প পড়ার সাধ্য কারও নেই। যদি সে খোলসা করে না বলে। তবে মেয়েটির চোখ দুটো বেশ স্বচ্ছ। কত ছবি যেন ওখানে ধরা আছে। -আপনারা রাত্রের শুকতারা, দিনের বেলায় বেমানান হলেও তাতে কার কি আসে যায়। -ওভাবে বলতে পারলেন! কথাটা বাস্তবিক সত্য। কিন্তু সত্য যে বড় বেশি যন্ত্রণাদায়ক। -কষ্ট পেলেন তাহলে... -কষ্ট! ও তো আমাদের গায়ের গয়না। বলে সবাই, সয়ে গেছে, মানুষ বড় স্বার্থপর। -কেন এমন কথা বললেন... -না এমনি বললাম, মনে এলো তো তাই... -ও আচ্ছা.... সাধনার কাছে এক সময় অপেরার লোকরা এসে দাঁড়ায় শুভ্র শাদা রজনীগন্ধার ইস্টিকার হাতে। সাধনা ঝলমলে হাসিটুকু বিনিময় করে সবার উদ্দেশে। ইকবাল বাহার নামের তরুণ ডাক্তারটি তখনো তাদের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে। কিছু কি বলতে চায়, অথবা শুনতে চায়, বোঝা না গেলেও সাধনা অনুধাবন করে কিছু একটা। একরাত্রে তার প্রতি মমতা জন্মে গেছে হয়ত। একটু বেশি মাত্রায় অধিকার ফলিয়ে কথা বলছে দেখে সাধনা নিজেকে অনেকটা ছাড় দিলেও এক সময় সংযত হয়। জীবনের পথ চলতে-চলতে এমন কত অভিজ্ঞতা তার জীবনে হরহামেশাই এসেছে, হয়ত সব বলাও যাবে না। কিছু তো মনের নিভৃত কোণে থেকে যায়, তা শুধু নিজেরই জন্য গচ্ছিত। বৃষ্টির পরে আকাশে যেমন হরেক রঙের রংধনু দেখা যায়, জীবনের বাঁকে বাঁকে কত রং কত বিচিত্র রংধনু জেগে ওঠে, ফুটে ওঠে, সবই তো জীবনেরই কথা বলে। জীবন এখানে সন্ধ্যা তারকা। তার ভেতর দিয়ে মানুষকে চলতে হয়, চলতে চলতে মানুষকে দেখাও তো একটা অভিজ্ঞতা। জীবনে কত কত রঙের খেলায় মানুষ মুগ্ধ থাকে। অপেরার লোকরা বেশ তাড়াহুড়ো করলেও ইকবাল বাহার কোনো কথা না বলে শুধুই শুনে যায়। এখানে সে কি বা বলতে পারে, বুঝতে পারে না। বয়সে তরুণ, তাই আবেগও বেশি। অন্য আর দর্শকের মতো আরও কিছু বলতে চায় অথবা নিবিড় সান্নিধ্য কামনা করে ডাক্তারটি। সাধনা তবুও আড়চোখে তাকিয়ে মিষ্টি একটা হাসি ঝুলিয়ে বলে, তাহলে আমি আসি... তৎক্ষণাৎ ইকবাল বাহার নামের তরুণ ডাক্তার কথা বলে ওঠে। হঁ্যা-হঁ্যা অবশ্যই যাবেন... আমরা তো সেবক, সেবা দেই... তারপর যার যার কাজে... -মহান কাজ আপনাদের। -হঁ্যা মহানই তো! সেবা দেই, মানুষ সুস্থ হয়, তারপর সে চলে যায়, কেউ মনে রাখে না... হঁ্যা হঁ্যা হঁ্যা হঁ্যা... সাধনার বুকের মধ্যে কথাটা আটকে যায়। মাছ যেমন বড়শিতে বিঁধে যায়, তেমনি যেন কেমন একটা বড়শি বুকের সীমান্তে বিঁধল। তারপরও তাকে বেশি প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। অপেরার মেয়েদের এত আবেগ নিয়ে চললে হবে না। তাছাড়া তার কেন এত আবেগ-প্রেম-ভালোবাসা থাকবে, সে তো বাণের জলে ভেসে আসা কচুরিপানা। কোথায় কখন কোন ঘাটে আটকাবে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। একেই তো জীবন বলে! ডাক্তার ইকবাল বাহার আবার শান্ত বিনম্র কণ্ঠে বলে, ভালো থাকুন যেখানেই থাকুন, আবার দেখা হবে... সাধনা ফিরে যাওয়ার আগে আরেকবার দেখে নেয় মানুষটিকে। কি যেন একটা কথা বলতে গিয়ে থেমে যায়। হয়ত অনেক দিনই কথাটার কাঁটা মতো বুকে বিঁধে থাকবে ওর। অপেরার লোকদের চোখ আর এই মানুষের চোখের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান, এভাবে মোক্ষম একটা কাঁটার মধ্যে আটকে যাবে ভাবেনি। মঞ্চে নাচতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায় সে, এটা তার বহুদিনের রোগ, বাল্যকালের রোগ, অনেক ডাক্তার বদ্যি করে পুরোপুরি সারেনি। হয়ত কঠিন অসুখ। অনেক পয়সা হলে ভালো করে চিকিৎসা করতে পারবে। সে পর্যন্ত অপেক্ষা। কারণ অপেক্ষা ছাড়া সামনে কোনো বিকল্প নেই। জন্মদাতা পিতার সে সমর্থও নেই যে মেয়ের জন্য কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ব্যয় করবে। থাকলেও করত কিনা সন্দেহ। কারণ অপেরার মেয়ের দু'হাতে টাকা; সে তো টাকার মেশিন, তাকে বিকিয়ে টাকা যেখানে আসে, কেন তার পেছনে টাকা ঢালবে কেউ। সাধনার পিতা শুধু টাকা চায়, সে টাকার জন্যই অপেরার নর্তকী আজ। ইদানীং অসুখটা খুব ঘন-ঘন দেখা দিচ্ছে। সে সঙ্গে হাঁপের ব্যামো তো আছেই, বাল্যকালে কিছু কিছু ব্যামো হয়ত সহজে সারে না, একটা দাগ রয়ে যায় শেষ পর্যন্ত। শরীরটা আর কত সইবে, বছরের আটটা মাস থাকতে হয় জল-কাদা শীত-ঠান্ডার মধ্যে। তাতে সাধনার কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু নতুন উঠতি বয়সি ডাক্তারের সেবা আর আপনজনের মতো কথা শুনে সাধনার মধ্যে এক রকম আবেগ সৃষ্টি হয়। এটা কি অন্যরকম কিছু। হয়ত নেশা নাকি পাগলামি। সব নেশার মধ্যেই একটা পাগলামি থাকলেও থাকতে পারে। সেদিনের পর থেকে সাধনার মধ্যে ভিন্নধারার পরিবর্তন দেখা দেয়। রাত্রে ঘুমের মধ্যে কথা বলে ওঠে। বাল্যকালের অস্পষ্ট ছবি চোখের কোণে ঘুরেফিরে ভেসে ওঠে। উঠতি বয়সে ওমন চোখের দেখা পেয়েছিল সে। ওই চোখের সঙ্গে ডাক্তারের চোখের এত মিল হবে ভাবেনি। বুকের ভেতর খচখচ করতে থাকে। ইকবাল বাহার নামটি গেঁথে যায় করোটির মধ্যে। কি কথা বলতে চায় ওই দুটো চোখ। আরও কি কথা ছিল- যা হয়ত বলতে পারেনি। একজন প্রিন্সেসকে মুখে বলতে না পারলেও মনের আঙিনায় কথাটাকে আগলিয়ে রেখেছে, কিন্তু সাধনা সে ভাষা পড়তে পারেনি। আবার সকাল আসে, সকালের মতো বিনম্‌্র পায়ে। রোদের সোনালি আবির ছড়িয়ে যায় সাধনার মুখে। সাধনা আবির রাঙানো মুখে দূরের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে। ওর চোখ কাকে খোঁজে জানে না, জানতে ইচ্ছে হলেও মনের ভেতর ইচ্ছেগুলো ডানা ঝাঁপটায়, বুকের মধ্যে একটা না বলা কষ্ট কেমন আঁকুপাঁকু করে মরে। সাধনা সবই বোঝে কিন্তু কাউকে তো বলে বোঝানো যাবে না। এটা তার একান্তই নিজের ব্যাপার! কখনো-সখনো আকাশের বুকে উড়ে-উড়ে বেড়ানো পাখিদের বড় ভালো লাগে, তারও হয়ত ইচ্ছে জাগে ওদের সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে তামাম আকাশ সীমা। খাবার খাওয়া না খাওয়া বড় কথা নয়, পাখনা মেলে উড়ে বেড়াতে তার ইচ্ছে মনের মধ্যে খাবি খায়। দিন শেষে নীড়ে ফিরে ভালোবাসাকে আগলিয়ে ভালোবাসার কথা বলবে। সে দিন কি জন্য অপেক্ষা করছে না! আহা এমন দিন যদি কখনো আসতো... সোনায় মুড়িয়ে রাখতো, বুকের মধ্যে জড়িয়ে... এখন সাধনা মনে মনে শুধু ভাবে আরেক দিন কি দেখা হবে তরুণ ডাক্তারের সঙ্গে... যদি দেখা হতো! কিন্তু সে কিই-বা বলবে! কি বা বলতে হয়। তার মতো কত শত রোগী ডাক্তারদের কাছে যাওয়া-আসা করে, তাদের ক'জনকে স্মরণ রাখে তারা! হয়ত ভুলেই গেছে একরাত্রের বর্ষার কদমফুলের কথা। বর্ষার কদম ফুল কথাটা ভেবে মনটা আবার হারিয়ে যায়। কি চমৎকার একটা উপমা অকস্মাৎ মুখে চলে এলো, সত্যিই তো সে একটা... বর্ষা ফুরিয়ে গেলে কে আর কাকে মনে রাখে। রাত্রের একটা ধুব্রম্নতারাকে কে আর কতক্ষণ স্মরণে রাখে! কিন্তু তারপরও মনটা যেতে চায়, একটিবার দেখার বড় ইচ্ছে মনের মধ্যে পানকৌড়ির মতো ডুবসাঁতার খেলে... একটু-একটু করে সময় গড়ায়। অপেরার লোকগুলো ব্যস্ত হয়ে ওঠে দিনযাপনে। দিন আনা দিনখানা লোকরা জীবনটাকে ভোগ করতে পারে না, তাদের জীবনে সুখ নেই, স্বপ্ন নেই, নেই কোনো হিসেবের অংক। আছে শুধু হতাশা আর দিনযাপনের গস্নানি। তার ভেতরে চলে কঠিন নতুন নতুন সময়ের ভিন্নভিন্ন জটিল অংক। যে যার কাজে জড়িয়ে যায়, ছড়িয়ে যায় বৃহৎ জঠরের তাগিদে। যে জঠর শুধু খেতে চায়... খেতে চায়... দাও দাও দাও... দুনিয়াশুদ্ধ দিলেও তার ক্ষুধা মিটবে না। সাধনা এক সময় ভুলে যায় ইকবার বাহার নামের ডাক্তারের কথা। বুকের মধ্যে অন্যরকম একটা মেঘ ঘনঘটা ছড়ায়। বাল্যকালের সেই মুখটা চোখের মধ্যে ঘুরেফিরে আসে। চোখ বন্ধ করলেও সে আসে, তার আসাটা কোনোভাবেই আটকাতে পারে না। বাল্যকালের প্রেম বড় আবেগমিশ্রিত। জোনাকির মতো মিটমিটিয়ে জ্বলে বাঁশঝাড়ে- জলা জঙ্গলে। করোটির ভেতর গেঁথে থাকে কেন, তাকে কি জীবনভর ছায়ার মতো নিয়ে বেড়াতে হবে? সাধনা সুখ পায় না। সমস্ত সুখ কেড়ে নিয়েছে ওই মুখ, ওই চোখ। তাদের গ্রামের দক্ষিণপাশে মুন্সীদের বিস্তৃর্ণ আমবাগান আর বাঁশঝাড়। তারপর কুমারপাড়া মানে পালপাড়া, কয়েক ঘর পাল ছিল তখনো। ওদিকে ব্যানার্জিদের দীঘি, মস্ত কালীমাতার মন্দির, বড় জাগ্রত দেবী অধিষ্ঠিত ছিল, সব... সবই এনিমি হয়ে গেছে। সাতভূতে লুটেপুটে খাচ্ছে মজুমদারদের বিশাল ধানিজমি, কেউ দেখার নেই। নামমাত্র কিছু সরকার পায়, জানে না কেউ, কার বরাতে কে বা লিখে নিয়েছে কিনা তাও জানে না এলাকার কোনো লোক। তার পাশে ছিল নদের চাঁদের আখড়া, এখন কি আছে... নদের চাঁদকে কে বা কারা একদিন পিটিয়েই মেরে ফেলে দিল, কারণ সে নাকি ধর্মে আঘাত করেছে, তাই তার মৃতু্য অবধারিত! পালপাড়া আর গোয়ালপাড়া মানে ঘোষপাড়া, সাত তলস্নাটের মধ্যে এ দুটোই ছিল হিন্দুপাড়া। ওপাশে মুন্সীদের-মিয়াদের এবং কয়েক ঘর খন্দকারপাড়া। বড় খন্দকারের মেজো বউয়ের ছোট ছেলের সঙ্গেই ছিল সাধনার বাল্যস্মৃতি। ফাহিমকে কেন যেন বড় বেশি ভালো লাগতো। ওদের বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ছিল ওর। একদিন ওরা রাজধানীর দিকে চলে গেল, গ্রামে কি আর থাকে, কারণ গ্রামে লেখাপড়ার সুযোগ-সুবিধা কম। ফাহিমকে অনেক বড় হতে হবে। সেদিনের ওইটুকু সুখস্বপ্ন আজো মনের বাতায়নে ঘাপটি মেরে আছে। বাল্যস্মৃতি কেন যেন উড়ে যায় না, অহর্নিশি জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মারে। সাধনার বাপ-দাদুদের আদিপেশা যেহেতু যাত্রাপেরা। একটা বয়সে এসে সাধনাও হাল ধরে, অর্থাৎ উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পেশায় নামতে বাধ্য হয়। আজ কত জায়গায় ঘুরে বেড়ায়, দেশ-বিদেশ কত অঞ্চলে অবাধ বিচরণ। জীবনকে ছাগলের খুঁটির সঙ্গে না বেঁধে বিশাল সমুদ্রের পায়ে বেঁধেছে সাধনা। চোখে চোখে কত খোঁজে সেই মুখ সেই চোখ কিন্তু ধুলোয়-ধূসর সবই কেমন। সামনে পেছনে চাপচাপ ঘন অন্ধকার। কোথাও কোনো আলোকচ্ছটা নেই, আলো যেন তার থাকতে নেই। আলোহীন সঁ্যাতসেঁতে অন্ধকার দ্রাঘিমা পেরিয়ে সাধনা হাঁটতে থাকে কচ্ছপের পায়ে-পায়ে। হয়ত কখনো বিন্দু-বিন্দু আলো এসে ঝলসিয়ে দেবে জীবনের তামাম অন্ধকার। ডাক্তারের চোখ দুটো কি ফাহিমের চোখের মতো, কি যেন বলতে চায় ওই চোখ। কেন হঠাৎ ওই চোখ তাড়া করে নিয়ে যায় তাকে। একটা যবনিকা এসে সীমান্ত টেনে দিল। কঠিন সীমান্ত পেরিয়ে কীভাবে যাবে, নাকি ব্যর্থ চেষ্টা না করে রঙের সমুদ্রে নিজেকে হারিয়ে দেবে। তারপরও মাঝরাত্রে একটা চোখ সেই মায়াবী চোখ কি কথা যেন বলে যায়। সব কথা তো পড়া যায় না। অব্যক্ত থেকে যায় অস্পষ্ট থেকে যায়। বোবা পাথর হৃদয়ে শুধুই স্বপ্ন বোনে। স্বপ্নকে সাজিয়ে তোলে স্বপ্ন শয্যায়।