রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নাকে শপথবাক্য পাঠ করান ভারতের রাষ্ট্রপতি। ৫০তম প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। আগামী ছ'মাস ভারতের বিচারব্যবস্থার শীর্ষপদে থাকবেন তিনি। তার অবসর গ্রহণের দিন ২০২৫-এর ১৩ মে।
দিলিস্নর জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু খান্নার। পরে তিনি দিলিস্ন হাইকোর্টের আইনজীবী হন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি আয়কর বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী ছিলেন। ২০০৫ সালে দিলিস্ন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি। ২০০৬ সালে স্থায়ী বিচারপতি হন। ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি বিচারপতি খান্না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন। বিচারপতি খান্না মুষ্টিমেয় কয়েকজনের মধ্যে অন্যতম, যারা দেশের কোনো হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি না হয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হয়েছেন।
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া নির্বাচনী বন্ড, দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের জামিনসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের অংশ থেকেছেন বিচারপতি খান্না।
চলতি বছরে আগস্টে মুম্বইয়ের এক কলেজে পড়ুয়াদের বোরখা, হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত মামলারও শুনানি হয়েছিল তার বেঞ্চে। কলেজ কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, তাতে আংশিক স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন
তার বেঞ্চ।
বিচারপতি খান্নার আরও একটি পরিচয় হলো, তিনি সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি হংসরাজ খান্নার ভাইপো। তার পিতা দিলিস্ন হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবরাজ খান্না। বিচারপতি হংসরাজ যে এজলাস থেকে অবসর নিয়েছিলেন, সেই এজলাস থেকেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
সাধারণত অবসর গ্রহণের আগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তার উত্তরসূরি হিসেবে শীর্ষ আদালতের প্রবীণতম বিচারপতির নাম সুপারিশ করেন। সেই প্রথা মেনেই সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে সম্প্রতি বিচারপতি খান্নার নাম সুপারিশ করেছিলেন। তার পরেই রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।