বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম বাংলাদেশে সাবেক প্রধান বিচারপতি। ২০১০ সালের ৪ ফেব্রম্নয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম। তিনি ২০১০ সালের ৮ ফেব্রম্নয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বিচারপতির পুরো মেয়াদ ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর বিচারপতি ফজলুল করিম অবসরে যান।
বিচারপতি ফজলুল করিম ১৯৪৩ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার সুচক্রদন্ডি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আহমেদ কবীর। তিনি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদের বংশধর। ফজলুল করিম ১৯৫৮ সালে পটিয়ার কাজেম আলী হাইস্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। এরপর তিনি ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি নেওয়ার পর ১৯৬৯ সালে লন্ডনের লিংকনস ইন থেকে বার অ্যাট ল' ডিগ্রি অর্জন করে ব্যারিস্টার হন।
তিনি ১৯৬৫ সালে আইনজীবী হিসেবে চট্টগ্রাম বারে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৭০ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৭৯ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
বিচারপতি করিম ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর তিনি হাইকোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি। ২০০১ সালের ১৫ মে তিনি আপিল বিভাগে যোগ দেন।
ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রয়াত সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিমের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রোববার (১৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ থাকে। তবে প্রশাসনিক কাজ চলমান ছিল।
১৬ নভেম্বর রাত ৪টা ৪৩ মিনিটে রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় সাবেক প্রধান বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল করিম (৮১) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিলস্নাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
১৬ নভেম্বর দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কোর্টের ইনার গার্ডেনে বিচারপতি ফজলুল করিমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিমের মৃতু্যতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শোক প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্ট রিপোর্টার্স ফোরাম (এসআরএফ)। শোকবার্তায় এসআরএফের সভাপতি মাসউদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।