খুন করার জন্য ২০ লাখ টাকা চেয়েছিলেন দুই কিলার। সেই মতো চুক্তিও হয়। হত্যাকান্ডের অভিযোগে জেল হয় তাদের। প্রায় এক বছর পর জামিনে মুক্তি পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে বকেয়া আদায়ে গিয়েছিলেন দুই সুপার কিলারের একজন। কিন্তু হতাশ হয়েই ফিরতে হয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় খুনের বরাত দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ বার থানায় অভিযোগ করলেন ওই কিলার।
বছরখানেক আগে উত্তরপ্রদেশের মিরাটে এক মহিলা আইনজীবীর খুনের ঘটনা ঘটে। অঞ্জলি নামে ওই আইনজীবী দুধের দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুই আততায়ীর গুলিতে খুন হন। ঘটনার তদন্তে নেমে অঞ্জলির স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকদের সন্দেহ হয় পুলিশের। আটকও করা হয় তাদের। অনুমান, অঞ্জলিকে খুন করার জন্য ভাড়া করা হয়েছিল দু'জনকে। পারিবারিক অশান্তির জেরেই অঞ্জলিকে খুনের বরাত দিয়েছিলেন তার শ্বশুরবাড়ির লোক। যদিও পরে প্রমাণের অভাবে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।
হত্যাকান্ডের দিন কয়েক পরেই সন্দেহভাজন দুই শুটারকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। নীরাজ শর্মা এবং যশপালকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, সুরেশ ভাটি নামে এক ব্যক্তি তাদের খুনের বরাত দিয়েছিলেন। তবে, এক বছরেও সুরেশের টিকি খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা। জেল হয় দুই অভিযুক্তের। তবে এখনো মামলা চলছে আদালতে। সম্প্রতি জামিনে জেল থেকে ছাড়া পান নীরাজ।
জামিনে ছাড়া পাওয়ার দিন কয়েক পরেই নীরাজ সোজা থানায় এসে উপস্থিত হন। অভিযোগ করেন, অঞ্জলিকে খুন করার বরাত দিয়েছিলেন তার স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি। নীরজ আরও দাবি করেন, ২০ লাখ টাকায় খুনের চুক্তি হয়েছিল। শুধু তা-ই নয়, মিরাটের টিপি নগরে পাঁচটি দোকান দেওয়ার প্রতিশ্রম্নতিও দিয়েছিলেন অঞ্জলির শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নীরাজের কথায়, পুলিশ যখন আমাদের গ্রেপ্তার করে, তখন আমরা অঞ্জলির শ্বশুর, শাশুড়ি বা স্বামীর নাম প্রকাশ করিনি। তাদের সম্পর্কে কোনো তথ্য দিইনি। কারণ, আমাদের মধ্যে সেই সংক্রান্ত আর্থিক চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে আমরা অনুতপ্ত। তাই অভিযুক্তদের নাম জানালাম। সূত্রের খবর, ২০ লাখ টাকার চুক্তি খেলাপ হওয়াতেই রেগে গিয়ে থানায় যান নীরাজ।