ঢাকা বারে অ্যাডহক কমিটি বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের
প্রকাশ | ২০ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০
আইন ও বিচার ডেস্ক
ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে (ঢাকা বার) আহ্বায়ক (অ্যাডহক) কমিটির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অভিযোগ করেছে সমিতির (২০২৪-২৫ মেয়াদে) নির্বাচিত কমিটি। এ অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত দাবি করা ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার শাহাদাত শাওন।
তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রে কোথাও অ্যাডহক কমিটির কথা বলা নেই। কমিটি গত ১২ আগস্টও কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, সদস্যদের তরফ থেকে আমার কাছে তলবি সভার কোনো লিখিত নোটিশ আসেনি।
অ্যাডভোকেট আনোয়ারের সই করা বারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮-২৯ ফেব্রম্নয়ারি, ২০২৪-২৫ এর নির্বাচন হয়। আমরা নির্বাচিত হয়ে গত ৭ মার্চ শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব গ্রহণ করি তারপর থেকে নিয়মিত বারের সমস্ত কাজ করে আসছি। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগ করলে ৬ আগস্ট বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা লাঠি ও অস্ত্রের মাধ্যমে আমাদের আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য সম্পাদকদের কক্ষ ভাঙচুর ও বেদখল করে তালা লাগিয়ে দেয়।
এমতাবস্থায় আমরা অন্য চেম্বারে বসে বারের কার্য পরিচালনা করি। বিএনপির ও জামায়াত-শিবিরের আইনজীবীরা কক্ষ ভাঙচুর করে এবং তালা লাগিয়ে দেওয়ার পর অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য গঠনতন্ত্রবিরোধী তলবি সভা আহ্বান করে- যা ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে পুরোপুরি বিরোধী।
তিনি বলেন, ঢাকা আইনজীবী সমিতির গঠনতন্ত্রে (পৃষ্ঠা ১৬) বলা আছে, (১) বিশেষ/তলবি সাধারণ সভা আহ্বানের জন্য সমিতির কমপক্ষে ১০০০ (এক হাজার) নিয়মিত সদস্যের স্বাক্ষর, সদস্য নম্বর, ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং অন্য কিছু থাকলে তাসহ লিখিতভাবে কোনো নোটিশ দেবেন সাধারণ সম্পাদক। ওই নোটিশ পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে তলবি বিষয়ে আলোচনা করার জন্য একটি তলবি/সাধারণ সভার আহ্বান করবেন। কিন্তু ডাকে বা ইমেলে তাকে নোটিশ দেয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ অসংবিধানিক এডহক কমিটি দিয়ে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। আইনজীবীরা সেবা করার ক্ষমতা হারিয়েছে- যা আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।