সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী সন্ত্রাসী কিংবা মানুষের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধে 'কঠোর ব্যবস্থা' নেবে জাতীয়তাবাদী যুবদল। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন সংগঠনের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, 'জাতীয়তাবাদী যুবদল স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিতে চায় যে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সংগঠনের নাম ব্যবহার করে বেআইনি কর্মকান্ড চালানোর সুযোগ পাবে না। ভবিষ্যতে যাতে কেউ সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে না পারে, সেজন্য যুব দল কঠোর নীতি গ্রহণ করবে।'
তিনি বলেন, 'যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে
যে কোনো ওয়ার্ডের কর্মী পর্যন্ত প্রত্যেকের কাছে একটি আমরা বার্তা আমরা পৌঁছে দিতে চাই, যুবদলের কোনো নেতা-কর্মী যদি কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে কিংবা দেশবিরোধী বা মানুষের স্বার্থ পরিপন্থী কোনো কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে দল কিন্তু তাদের কোনো ছাড় দেবে না।'
নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, 'যুবদল সব সময় সুশৃঙ্খল ও আদর্শিক রাজনৈতিক চর্চায় বিশ্বাসী এবং কোনো রকমের বেআইনি, অনৈতিক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রশ্রয় দেয় না। সংগঠনের আদর্শ পরিপন্থী কর্মকান্ডের প্রেক্ষাপটে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির কর্তৃক ইতিমধ্যে সারা দেশে প্রায় ৬০ জনের মতো যুবদল নেতৃবৃন্দকে শোকজ এবং প্রায় ১৪০ হনের মতো নেতৃবৃন্দকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এমনকি অপরাধীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।'
তিনি বলেন, অতীতে আমরা লক্ষ্য করেছি দলের কোনো নেতা-কর্মী যদি অন্যায় করতো, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ত তাহলে যেসব দল সন্ত্রাসীদের আড়াল করার জন্য, অস্বীকার করার জন্য এক ধরনের সংস্কৃতি তৈরি করেছিলো। অর্থাৎ কোনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে অস্বীকার করা, অন্যায়কে অস্বীকার করা। প্রকারান্তে অন্যায় ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দেওয়া হতো।'
সংবাদ সম্মেলনে যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করিম পল, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলস্নাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল এবং দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল উপস্থিত ছিলেন।