ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা রোববার রাজধানীর রামপুরায় মশাল মিছিল করে - ফোকাস বাংলা
ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের 'যৌন নিপীড়নের' ঘটনায় রাজধানীর আসাদগেইট ও জিগাতলা এলাকায় বিক্ষোভ করেছেন কিছু শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা ঘটনাটিকে 'ধর্ষণ' হিসেবে তুলে ধরে বিচারের দাবি জানিয়ে মিছিল করে। এ সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কে যানজট তৈরি হয়।
সকাল ১০টার পর আসাদগেইট এলাকায়
সড়ক আটকে মিছিল করে আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষার্থী। তারা পস্ন্যাকার্ড বহন করে এবং স্স্নোগান দেয়।
শেরেবাংলা নগর থানার ওসি মোহাম্ম গোলাম আজম বলেন, 'বাসে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে ও এর বিচারের দাবিতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশেপাশের প্রতিষ্ঠানের ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। রাস্তা বন্ধ করার যাত্রীরা এর প্রতিবাদ জানালে কিছুক্ষণের মধ্যে তারা আটকে রাখা গাড়ি ছেড়ে দেয়। এরপর তারা সড়কের মাঝখানে অবস্থান নিয়ে স্স্নোগান দিতে থাকে।'
ওসি বলেন, 'দুপুর দুইটার দিকে তারা সড়ক থেকে চলে গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।'
একই দাবিতে বেলা ১টার দিকে জিগাতলা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে আরেক দল শিক্ষার্থী। তারা পস্ন্যাকার্ড হাতে মিছিল নিয়ে জিগাতল থেকে সিটি কলেজ হয়ে আবার জিগাতলায় আসে।
ধানমন্ডি থানার ওসি আলী আহমেদ মাসুদ বলেন, 'আব্দুর রউফ কলেজের কিছু স্টুডেন্ট ধর্ষণবিরোধী মিছিল করেছে। তারা ধর্ষণের বিচারের দাবিতে বেলা ১টার দিকে জিগাতলা থেকে মিছিল নিয়ে সিটি কলেজ হয়ে ঘুরে দেড়টার দিকে মিছিল শেষ করে চলে গেছে। বর্তমানে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।'
সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ইউনিক রোড রয়েলস নামের চলন্ত বাসে ডাকাতি ও যৌন-নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। বাসটি গাবতলী থেকে নাটোরের বড়াইগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। গাজীপুরের কালিয়াকৈরের হাইটেক সিটি পার্ক এলাকা অতিক্রমের পর বাসে যাত্রী বেশে ডাকাতরা যাত্রীদের জিম্মি করে ফেলে। এ ঘটনায় নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ওসিকে প্রত্যাহার ও মির্জাপুর থানার এএসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাভার থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।