ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা অ্যাকাডেমি (নায়েম) থেকে প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ কবি সোহেল হাসান গালিবকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রেষণ প্রত্যাহার করে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওএসডি) দায়িত্ব দিয়ে তাকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর সরকারি মহসিন ডিগ্রি কলেজে সংযুক্ত
করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে তার প্রেষণ প্রত্যাহার করা হয়। যদিও গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে।
একই প্রজ্ঞাপনে আরও ১৩ জন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাকে বিভিন্ন পদে বদলি ও পদায়নসহ ওএসডি, সংযুক্ত এবং প্রেষণ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে কবি সোহেল হোসেন গালিবসহ শিক্ষা ক্যাডারের ১৪ কর্মকর্তাকে আগামী ২৭ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হতে বলা হয়েছে। অন্যথায় একই তারিখ 'অপরাহ্নে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন' বলেও উলেস্নখ করা হয়েছে।
২০২৪ সালে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান উজান থেকে প্রকাশিত বইয়ে গালিবের লেখা একটি কবিতা ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়। কবিতাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ালে গালিবের বিরুদ্ধে মহানবীকে 'কটাক্ষ' করার অভিযোগ ওঠে।
ধর্ম অবমনানার অভিযোগে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার কবি সোহেল হাসান গালিবকে জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য গত সোমবার দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত ১৩ ফেব্রম্নয়ারি রাতে নারায়ণগঞ্জের সানারপাড় এলাকা থেকে কবি গালিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এদিকে গালিবের নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন শতাধিক লেখক, শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিক, অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী।