চসিক মেয়র শাহাদাত
কারাগারে বন্দিদের মানবিক জীবন নিশ্চিত করতে হবে
প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চট্টগ্রাম বু্যরো
কারাগারে থাকা বন্দিদের মানবিক জীবন নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বুধবার নগরীর জেল রোডে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ব্যক্তিগত উদ্যোগে কয়েদিদের মাঝে পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। ডেপুটি জেলার ইব্রাহীমের সঞ্চালনায় সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেনের অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কয়েদিদের শোচনীয় অবস্থা সম্পর্কে চসিক মেয়র বলেন, 'কারাগারে কয়েদিদের অতিরিক্ত চাপ। আমি দেখেছি প্রতিটি রুমে কয়েদিদের থাকার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা থাকে না। ৩০-৪০ জনের জায়গায় ১০০ জন রাখা হয়। এটা বড়ই অমানবিক। কয়েদিদের নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকার জায়গা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়া, গায়েবী মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কারণে কারাগারের চাপ আরও বেড়ে যায় ফলে বন্দিদের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার সংকট সৃষ্টি হয়। কারাগারে কয়েদিদের তুলনায় বাথরুমের সংখ্যা অত্যন্ত কম। এতে করে বন্দিদের নানা ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এটি অত্যন্ত অমানবিক অবস্থা। বন্দিদের নূ্যনতম মৌলিক অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা জরুরি।'
মেয়র বলেন, 'কাশিমপুর কারাগারে আমি দেখেছি ফুটবল খেলার মাঠ আছে, কলা গাছ, কাঁঠাল গাছ আছে এগুলোর ফল কয়েদিরা খায়। চট্টগ্রামে কারাগার সুপ্রশস্ত না হওয়ায় আনোয়ারা, সীতাকুন্ড বা মিরসরাইয়ের মতো এলাকায় কয়েদিদের জন্য খেলার মাঠ, বাগান ও পর্যাপ্ত মুক্ত জায়গা থাকবে এমন নতুন কারাগার গড়ে তোলার বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে।'
মেয়র বলেন, 'মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে সবকিছু। কয়েদিদের জন্য একজন ডাক্তারের পাশাপাশি একজন সাইকোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এখানে আত্মহত্যার অনেক ঘটনা হয়েছে। যখন একজন কয়েদি এখানে ঢুকে সে যখন হয়তোবা দোষী নয়, এতে করে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কাজেই আমার মনে একজন সাইকোলজিস্ট থাকলে কয়েদিদের মানসিক সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব হবে। কারাগারে মানসম্মত ওষুধের অভাব রয়েছে। আমি দেখেছি অনেক সময় এই নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহারের কারণে রোগীরা সুস্থ হচ্ছে না বরং এলার্জির মতো চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়। সেজন্য মানসম্মত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।'
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাসুদ হাসান জুয়েল, জিয়াউর রহমান জিয়া, আলাউদ্দিন আলী, আবুল বশর ও অন্য কর্মকর্তারা।