মধ্যরাতে উত্তাল যবিপ্রবি ছাত্রী হল প্রভোস্টের পদত্যাগ দাবি

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

যবিপ্রবি প্রতিনিধি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের বিভিন্ন কক্ষে ছাত্রীদের অনুপস্থিততে রান্নার সরঞ্জামাদি রেইড করার প্রতিবাদে মধ্যরাতে হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগসহ আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে আবাসিক হলের ছাত্রীরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটায় কয়েকজন ছাত্রীর লকার ভাঙার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেন ওই হলের ছাত্রীরা। পরে হলের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে হলের কয়েকজন সহকারী প্রভোস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক আন্দোলনরত ছাত্রীদের বুঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলে আট দফা লিখিত দাবি জমা দেন ছাত্রীরা। রাতে হল প্রভোস্ট এলেও ছাত্রীরা হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা না বলেই স্থান ত্যাগ করেন। হলের ছাত্রীদের ভাষ্যমতে, মঙ্গলবার যবিপ্রবির শেখ হাসিনা ছাত্রী হলে রান্নার সরঞ্জামাদির বিষয়ে রেইড করেন হলের কয়েকজন সহকারী হল প্রভোস্ট। এসময় কয়েকটি রুমে ছাত্রীদের অনুপস্থিতিতে কয়েকজন ছাত্রীর লকার ভেঙে রান্না করার সরঞ্জামাদি অফিসে নিয়ে যায় হল প্রশাসন। এছাড়া তারা গেটে ছাত্রীদের ব্যাগ তলস্নাশি চালায় নিযুক্ত আনসার সদস্যরা। ঘটনার জবাবদিহি চেয়ে তাদের বেঁধে দেওয়া সময়ে হল প্রভোস্ট না আসায় গেটের তালা ভেঙে হলের সামনে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে প্রভোস্ট বডির পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়াসহ মোট আট দফা দাবি তুলে ধরেন। আট দফা দাবিতে ছাত্রীরা বলেন- শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে তাদের ব্যক্তিগত সরঞ্জামাদি রেইড করার জবাব চাই ও পুরুষ ইলেক্ট্রিশিয়ান কেন নোটিশ ছাড়া কক্ষে প্রবেশ করল, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে তালা ভাঙ্গার জবাব চাই, প্রভোস্ট বডির পদত্যাগ চাই ও মিল ম্যানেজার বাতিল চাই, হল প্রভোস্টের পক্ষ থেকে আজকের ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে, ভবিষ্যতে যেন কোন প্রভোস্টবডি, স্টাফ শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতিতে তাদের সরঞ্জামাদিতে হাত না লাগায়, রোজার আগে পুরাতন ছাত্রীহলে ক্যান্টিন সিস্টেম চাই, হলের প্রত্যেক তলায় একটি করে রান্নাঘর চায় এবং আজকের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে প্রভোস্টবডির পদত্যাগ চাই ও অফিস স্টাফ টুম্পা, আফরোজা, শাহনাজ মিমের আচরণের পরিবর্তন চাই। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. নাজনীন নাহার বলেন, 'ছাত্রীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমি রাত দেড়টায় হলে আসি। হলে আসার পর ছাত্রীরা আমার সাথে কোন কথা না বলে কেন চলে যায়, এটা প্রশ্ন রয়ে যায়। ছাত্রীদের দেওয়া দাবিগুলো আমি পেয়েছি। তাদের আজকের বেশিরভাগ দাবি পূরণে আগে থেকেই সেইসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। ছাত্রীরা যদি পদত্যাগ চায় তবে পদত্যাগ করতে আমার কোনো আপত্তি নেই।'