বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

চিন্ময়ের অনুসারী ডা. কথক দাশ ৩ দিনের রিমান্ডে

চট্টগ্রাম বু্যরো
  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চিন্ময়ের অনুসারী ডা. কথক দাশ ৩ দিনের রিমান্ডে

ধর্মীয় সংগঠন ইসকন নিয়ে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরের হাজারী গলিতে যৌথবাহিনীর ওপর এসিড নিক্ষেপের মামলায় ডা. কথক দাশকে ফের তিনদিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রামের ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানিতে আসামি কথক দাশ উপস্থিত

ছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হাজারী গলিতে যৌথবাহিনীর ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কথক দাশ। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

জানা যায়, ডা. কথক দাশ একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। তিনি লায়ন্স দাতব্য চক্ষু হাসপাতালের মাইক্রো, লেজার ও ফ্যাকো সার্জন এবং বাংলাদেশ আই হসপিটালের কনসালটেন্ট। এ ছাড়া সনাতন ধর্মীয় বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। একইসঙ্গে তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কারাগারে থাকা ইসকনের সাবেক সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী হিসেবেও পরিচিত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, হাজারী গলি মিয়া শপিং সেন্টার নামের একটি মার্কেটের একটি দোকানের মালিক ওসমান মোলস্না ফেসবুকে হিন্দুদের ধর্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিয়ে 'ব্যাঙ্গাত্মক' পোস্ট করেন। তা নিয়ে গত বছরের ৫ নভেম্বর স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে বিক্ষুব্ধরা রাতে দল বেঁধে মার্কেটের সামনে জড়ো হয়ে দোকানটি ঘিরে ফেলে। পরে পুলিশ গিয়ে পোস্টদাতা ওসমানকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েন। সে সময় তারা পুলিশকে ধাওয়া করে বলে অভিযোগ ওঠে। বিক্ষুব্ধরা সে সময় যৌথবাহিনীর সদস্যদের দিকে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে এবং উপর থেকে অ্যাসিডও নিক্ষেপ করা হয়। পরদিন রাতে কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৪৯ জনের নাম উলেস্নখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

গত ৫ ফেব্রম্নয়ারি বিকেলে যুক্তরাজ্যে যাবার জন্য ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হলে কথক দাশকে আটক করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরদিন সকালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় আনা হয় কথক দাশকে। ওইদিন নগরের নিউমার্কেট এলাকায় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মামলায় দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।

২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর নগরীর কোতোয়ালী থানায় জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে সনাতনী জাগরণ মঞ্চের সংগঠক চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেছিলেন ফিরোজ নামে স্থানীয় এক বিএনপি নেতা। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে