হাইল হাওড়ের জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রাকৃতিকভাবে দেশীয় মাছের নানান জাত হারিয়ে যাচ্ছে শুধু অভয়াশ্রমের মাধ্যমে তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। একদিকে হাওর রক্ষার কথা বলা হচ্ছে অন্যদিকে হাওড়ে ধানের উৎপাদন বাড়াতে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে কীটনাশক পানির সঙ্গে মিশে হাওরের মাছের ব্যাপক ক্ষতি করছে। তাই হাওড় রক্ষায় কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
রোববার সকালে শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওড়ের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন স্থানে 'বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময়' সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। যারা পাখি শিকার করে আনন্দ পেতে চান তা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, 'এ ধরনের শিকার নির্মম, অমানবিক, প্রাণবৈচিত্র্যসহ সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য ক্ষতি।'
বাইক্কা বিল রক্ষার জন্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে উলেস্নখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, 'বিদেশী সহায়তা নির্ভর না হয়ে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। নিজস্ব অর্থায়নে অবিলম্বে দাদুরিয়া বিল খননের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কাজগুলো অভয়াশ্রম রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিল রক্ষায় মৎস্য কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে কাঙ্ক্ষিত অভয়াশ্রম রক্ষায় কাজ করা কঠিন হবে।'
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোসা. শাহীনা আক্তারের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসী, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. জিয়া হায়দার চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় মৎস্য অফিসের উপ-পরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান, সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার কবীর, মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আরিফ হোসেন, সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রাণী বিশ্বাস, সিনিয়র সহকারী পরিচালক আল- মিনান নূর, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইসলাম উদ্দিন, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় এবং বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীরা। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি