'মেঘের রাজ্য' খ্যাত রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। পর্যটন মৌসুমের শেষের দিক এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় অনেক বেশি পর্যটক সাজেক রুইলুই পর্যটন কেন্দ্রে বেড়াতে গেছেন। তবে বেশিরভাগ পর্যটকই অগ্রিম বুকিং করে না যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন। হোটেল-মোটেলে কক্ষ পাননি অনেকেই। রাত কাটিয়েছেন হোটেল-মোটেলের বারান্দায়, ক্লাবঘর, স্থানীয়দের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ও শনিবার প্রায় ৫ হাজারের মতো পর্যটক সাজেকে বেড়াতে এসেছেন। সাজেকে বর্তমানে ১১৬টি রিসোর্ট-কটেজ রয়েছে, যেখানে প্রায় চার হাজারের মতো পর্যটক অবস্থান করতে পারেন। কিন্তু অনেক পর্যটক অগ্রিম বুকিং না করে যাওয়ায় কোনো রিসোর্ট কটেজে রুম পাননি। রুম না পেয়ে অনেকে ফিরে গেলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য থেকে গেছেন বহু পর্যটক। থাকার জায়গা না পাওয়ায় পর্যটকরা কটেজ মালিক সমিতি ও স্থানীয়দের সহায়তায় ক্লাবঘর, প্রাথমিক বিদ্যালয়, স্থানীয়দের বাড়িঘর ও মসজিদে রাতযাপন করেছেন।
জুমঘর ইকো রিসোর্টের ব্যবস্থাপক ইয়ারং ত্রিপুরা বলেন, 'দুই দিন বেশ ভালো পর্যটক সমাগম হয়েছে সাজেকে। যারা অগ্রিম বুকিং না দিয়ে এসেছেন তারাই রুম পাননি। তবে যারা রুম পাননি কটেজ মালিক
সমিতির পক্ষ থেকে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত বলেন, '২৩০টির মতো আমাদের জিপ গাড়ি, ৭০টির মতো মাহিন্দ্রা এবং ১০০টির মতো মোটর সাইকেল সাজেকে গেছে।'
কটেজ মালিক সমিতি অব সাজেকের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, 'সাজেকে এই মৌসুমের সর্বোচ্চ পর্যটক এসেছেন শুক্র ও শনিবার। প্রায় ৫ থেকে সাড়ে ৫ হাজার পর্যটক বেড়াতে এসেছেন। যারা অগ্রিম বুকিং না করে এসেছেন তাদের অনেকেই রুম পাননি। আমরা আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে প্রায় সাড়ে ৩শ পর্যটককে ক্লাবঘর, ত্রিপুরা ক্লাবঘর, নতুন নির্মাণাধীন কটেজ ও স্থানীয়দের বাসাবাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।'
কোনো পর্যটক রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হয়তো কোথাও কোনো পর্যটক গাড়িতে থাকতে পারেন। আমাদের কাছে যারাই এসেছেন আমরা তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছি। শনিবার বেশিরভাগ পর্যটক চলে যাচ্ছেন।'