শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

চট্টগ্রামে ফের বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম

চট্টগ্রাম বু্যরো
  ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
চট্টগ্রামে ফের বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম

চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম। তবে শীতকালীন সবজির ভরপুর সরবরাহ এখনও বাজারে অব্যাহত আছে। ক্রেতার নাগালের মধ্যে রয়েছে শাকসবজির দাম। অন্যদিকে মুদিপণ্যের দামও আগের মতোই আছে।

শুক্রবার নগরের অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কর্ণফুলী কমপেস্নক্স, কাজীর দেউড়িসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

নগরের বাজারগুলোতে মাছের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে বাড়তি দেখা গেছে। বাজারে আকারভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতলা মাছ ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ও শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বেলে ও আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া ট্যাংরা প্রতিকেজি ৬০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং

গলদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে।

বাজারে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৮০ টাকা ছিল। শুক্রবার বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা এবং অলিগলির দোকানগুলোতে ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। সোনালী মুরগির দাম গত সপ্তাহে ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা ছিল। সেটা ৩৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে গরু ও মহিষ কেজি প্রতি ৭৫০ থেকে ৯৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজি প্রতি ১ হাজার থেকে ১১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

শাকসবজি বাজারে দেখা গেছে, কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন, মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, শসা, টমেটোর দাম ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা ৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, করলা ৪০, মটরশুঁটি ৭০, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ ও লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া বাজারে মুন্সিগঞ্জের নতুন আলু মানভেদে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাল আলু, সাদা আলু, বগুড়ার আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিপণ্যের মধ্যে প্যাকেটজাত চিনি প্রতিকেজি ১২৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, ছোট মসুরের ডাল ১৩০ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৪০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৫৫ টাকা, খেসারি ডাল ১১০ টাকা, চনার ডাল ১৪৫ টাকা, ছোলা ১৩৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দুই কেজি প্যাকেট আটা ১২৫ টাকা, ময়দা ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিলিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা, পাম তেল ১৫৫ থেকে ১৫৮ টাকায়, পাম তেল সুপার ১৫৯ থেকে ১৬২ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৪০ টাকা ও বোতলজাত ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৩৫, চায়না রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ভারতীয় আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা ২২৫ টাকা, দেশি আদা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খুচরা পর্যায়ে মানভেদে স্বর্ণা, চায়না ও ইরি মানের মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, পাইজাম মাঝারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। রশিদ, ডায়মন্ড, সাগর, মোজাম্মেলসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের নাজিরশাইল ও মিনিকেট সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৯০ টাকায়। চিনিগুড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে