এই সময়ে হাসিনার ভাষণের সিদ্ধান্তই উসকানিমূলক:ফরহাদ মজহার
প্রকাশ | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি বিক্ষব্ধ ছাত্র-জনতার ভেঙে দেওয়া প্রসঙ্গে বুদ্ধিজীবী ও লেখক ফরহাদ মজহার বলেছেন, এই উসকানি ক্ষমতাচু্যত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা দিয়েছেন। এই সময়ের তার ভাষণ দেওয়ার সিদ্ধান্তই ছিল উসকানিমূলক।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। ফরহাদ মজহার এই বাড়ি ভাঙার ঘটনাকে আওয়ামী লীগের বৈশ্বিক পরিসরে প্রদর্শনের ওপর নজর রাখারও তাগিদ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, '৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙার উস্কানি শেখ হাসিনা স্বয়ং দিয়েছেন, এই সময়ে তার ভাষণ দেওয়ার সিদ্ধান্তই ছিল উসকানিমূলক। হাসিনার মাথায় রয়েছে ফেব্রম্নয়ারিতে (যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট) ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎকার এবং বাংলাদেশ নিয়ে ইন্দো-মার্কিন-ইসরায়েলি আঞ্চলিক পরিকল্পনা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অলিগার্কি, অর্থাৎ অল্প কিছু বিলিয়নারদের আধিপত্যের প্রতিষ্ঠা। যেমন ইলন মাস্ক, জুকারবার্গ, বিল গেটস প্রমুখ। এর কুফলও বাংলাদেশসহ গরিব ও প্রান্তিক দেশগুলোতে পড়বে। হিন্দুত্ববাদের সঙ্গে মার্কিন বর্ণবাদী গোষ্ঠীর মৈত্রীও পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। ট্রাম্পের গাজানীতি ভয়াবহ। ইতোমধ্যে ট্রাম্প বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ঘোষণা দিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র গাজার 'নিয়ন্ত্রণ নেবে' এবং এর ওপর তার 'মালিকানা' প্রতিষ্ঠা করবে।'
ফরহাদ মজহার বলেন, 'এই নতুন ভূরাজনৈতিক বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাষণ বুঝতে হবে। নতুন ভূরাজনৈতিক সমীকরণের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি রাজনীতির যে ছক কষছেন সেদিকে আমাদের পূর্ণ মনোযোগ নিবদ্ধ রাখতে হবে। ছাত্র-জনতার ন্যায়সঙ্গত ক্ষোভের পরিণতি হচ্ছে ৩২ নম্বর ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া। এটা শুরু, শেষ নয়। আমরা দেখলাম একে রক্ষা করার কোনো পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করেনি। সেনাবাহিনী কিছুক্ষণের জন্য এলেও ফিরে গেছে। জনগণের বিপরীতে সেনাবাহিনীকে দাঁড় না করাবার নীতি সঠিক।'
'কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে দিলিস্ন প্রমাণ করার চেষ্টা করবে যে জানমাল রক্ষা করতে উপদেষ্টা সরকার ব্যর্থ। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাখ্যা করা হবে যে বাংলাদেশে কার্যত কোনো সরকার নেই। এটাই দিলিস্ন হাসিনার পক্ষে প্রতিষ্ঠা ও প্রচার করবে।