পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে জলাশয় ভরাট নিষিদ্ধ। সরকারের কোনো উন্নয়ন প্রকল্প যাতে জলাধারের অবাধ প্রবাহে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সে ব্যাপারে বারবার নির্দেশনা দেওয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু কেউই আইনকানুন, সরকারের নির্দেশ কানে তুলছে না। এ ব্যাপারে যাদের এগিয়ে আসার কথা, তারাই উল্টে নির্মূল করছে জলাভূমি। অনুসন্ধান বলছে, জলাশয় দখলের দৌড়ে এগিয়ে আছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান। আইনের তেমন কার্যকারিতা না থাকায় দখলকান্ডে পিছিয়ে নেই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি। দখলদার চেনা গেলেও জলাভূমি থেকে তাদের তাড়ানোর আগ্রহ নেই কারো। কোনো কোনো সময় জলাশয় উদ্ধারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ আদালতে গেলে দখলদার পাল্টা মামলা ঠুকে থামিয়ে দেয় উচ্ছেদ প্রক্রিয়া। ফলে রাজধানীসহ সারাদেশের জলাধারগুলো ধুঁকে ধুঁকে হারিয়ে যাচ্ছে চিরতরে।
বিভিন্ন গবেষণা-পরিসংখ্যান তুলে ধরছে জলাশয়শূন্য হওয়ার তথ্য। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পস্ন্যানার্সের (বিআইপি) গবেষণা অনুযায়ী (২০২৪ সালের মে মাসের ৪ তারিখে 'ঢাকায় তাপদাহ : নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার দায় এবং করণীয়' শীর্ষক পরিকল্পনা সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রকাশিত), তিন দশক আগে ঢাকার মোট আয়তনের ২০ শতাংশের বেশি এলাকায় জলাভূমি ছিল। এখন এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ শতাংশের নিচে। অর্থাৎ গত তিন দশকে রাজধানীর জলাভূমি ১৭ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে, কোনো শহরের বাসযোগ্যতা নিশ্চিতে সেই শহরের মোট ভূমির ২৫ শতাংশ সবুজ আচ্ছাদিত রাখা জরুরি। কিন্তু রাজধানীতে এখন সেটিও আছে মাত্র ৯ শতাংশ।
নগর-পরিকল্পনাবিদদের এই সংগঠন বলছে, নগর-পরিকল্পনার মানদন্ড অনুযায়ী একটি আদর্শ শহরে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা এবং ১০ থেকে ১৫ শতাংশ জলাশয়-জলাধার থাকার কথা। কিন্তু গবেষণার দেখা গেছে, ১৯৯৫ সালে ঢাকা শহরে সবুজ এলাকা ও ফাঁকা জায়গা ছিল ৫২ বর্গকিলোমিটারের বেশি। এখন সেটি প্রায় ৪৩ শতাংশ কমে ৩০ বর্গকিলোমিটারের কাছাকাছি এসে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, ১৯৯৫ সালে ঢাকা শহরের মোট আয়তনের ২০ শতাংশের বেশি ছিল জলাভূমি। এখন তা মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ। গত তিন দশকে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট জলাভূমির প্রায় ৮৬ শতাংশ ভরাট হয়েছে। এছাড়া ১৯৯৫ সালের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত
ঢাকায় কংক্রিটের আচ্ছাদন বেড়েছে প্রায় ৭৬ শতাংশ।
বিআইপি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরে একদিকে সবুজ আচ্ছাদিত এলাকা ও জলাশয় কমেছে, অন্যদিকে কংক্রিট আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ বেড়েছে। গত তিন দশকে (১৯৯৫ সালের পর থেকে) ঢাকায় কংক্রিটের আচ্ছাদন প্রায় ৭৬ শতাংশ বেড়েছে। আবার মৎস্য বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৫ সালে ঢাকায় পুকুর-জলাশয়-খাল ছিল ২ হাজার। আর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পস্ন্যানার্সের (বিআইপি) গবেষণা বলছে, রাজধানীতে বর্তমানে পুকুর আছে ২৪টি।
তথ্য অনুযায়ী, গত প্রায় তিন দশকের মধ্যে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় জলাধারের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৭ ভাগের ১ ভাগে। হাওড় এলাকায় এ সময়ে ৮৭ শতাংশ জলাভূমি কমে ৪০০ বর্গকিলোমিটারে নেমেছে। এতে বন্যার ব্যাপকতা বাড়ছে বলে মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ পটভূমিতে আজ রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব জলাভূমি দিবস। ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছরের ২ ফেব্রম্নয়ারি আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন), ইউনেস্কোসহ পরিবেশবাদী সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জীববৈচিত্র্য, কৃষি, মৎস্য, পর্যটনসহ নানা ক্ষেত্রে জলাভূমির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের জলাভূমি যেমন-মার্শ, মোহনা, কাদা-চর, ফেন্স, পকোসিন্স, সোয়াম্প, ডেলটা, প্রবাল দ্বীপ, বিলাবঙ্গস, লেগুন, অগভীর সমুদ্র, বগ, হ্রদ ইত্যাদি। বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের জলাভূমির মধ্যে রয়েছে পস্নাবনভূমি, নিচু জলা, বিল, হাওড়, বাঁওড়, জলমগ্ন এলাকা, উন্মুক্ত জলাশয়, নদী তীরের কাদাময় জলা, জোয়ার ভাটায় পস্নাবিত নিচু সমতলভূমি এবং লবণাক্ত জলাধার। পরিবেশ রক্ষায় জলাভূমি সংরক্ষণের উদ্দেশে দিবসটি ঘিরে বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করে থাকে।
তথ্য বলছে, ঢাকায় জলাভূমি রক্ষার দায়িত্ব রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), সিটি করপোরেশন, পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ আরও কয়েকটি সংস্থার। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে জলাভূমি রক্ষার বিষয়টি দেখে হাওড় ও জলাভূমি অধিদপ্তর, সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি অফিস। তবে জলাশয় রক্ষায় বাতচিৎ নেই সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের। উল্টো কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের জলাভূমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণে বেসরকারি ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের 'তাল দিচ্ছেন' বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
খোদ রাজধানীতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাঁচটি জলাধার ভরাটের সত্যতা মিলেছে। ঢাকার গৈদারটেক ও কল্যাণপুরে ১১৭ একর জায়গা প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে ঢাকার বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ড্যাপে (২০২২-৩৫) চিহ্নিত। ওই এলাকার পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য এ জায়গা প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। তবে আধুনিক পদ্ধতিতে বীজ আলু উৎপাদনের লক্ষ্যে 'সেন্ট্রাল টিসু্য কালচার অ্যান্ড সিড হেলথ ল্যাবরেটরি' নির্মাণের জন্য ড্যাপে চিহ্নিত জলাশয়ের প্রায় ১২ একর জমি ভরাট করে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। এ ব্যাপারে রাজউক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ওই জলাশয় ভরাটের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের মার্চে বিএডিসিকে চিঠি দেয়। দুই সংস্থার চিঠি উড়িয়ে দিয়ে কোনো অনুমোদন ছাড়াই স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে বিএডিসি। চিঠি দিয়েও এ প্রক্রিয়া ঠেকাতে না পেরে উচ্চ আদালতে যায় উত্তর সিটি করপোরেশন। বিএডিসির এ কান্ডে মাটি ভরাট রোধ ও জলাশয় হিসেবে সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে ২০২৩ বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) একটি রিট করে। প্রাথমিক শুনানি শেষে ওই বছরের ১৩ আগস্ট হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। এর আগে সেখানকার চারটি পস্নটে (গৈদারটেক ও কল্যাণপুর) প্রায় ১২ একর জলাশয় ভরাট কার্যক্রমের বৈধতা নিয়ে আমীর চানসহ মিরপুরের স্থানীয় দুই বাসিন্দা একটি রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ জুন হাইকোর্ট রুলসহ স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন। আলাদা রুলের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে গত বছরের ২৮ জানুয়ারি জলাশয় ভরাট কার্যক্রম অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। জলাশয়ের ভরাট করা অংশ তিন মাসের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ও জলাশয় হিসেবে তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিএডিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তখন বিএডিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংস্থাটি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করবে।
আগারগাঁওয়ে পুকুর ভরাট করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ভবন নির্মাণ হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় এক সময় ১০টি ছোট-বড় জলাশয় ছিল। নগর উন্নয়ন ও সরকারি বহুতল ভবন করতে গিয়ে সাতটি পুকুর এরই মধ্যে 'নাই' হয়ে গেছে।
কুড়িলে রেলওয়ের জলাধার ভরাট করে অবকাঠামো তৈরির সুযোগ দেওয়া হয়েছে মিলেনিয়াম হোল্ডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে। পরে স্থানীয়রা বাগড়া দিলে তা বন্ধ হয়ে যায়।
রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া কয়েকশ' পুকুর ও জলাধারের মধ্যে টিকে থাকা হাতিরঝিলের কারওয়ান বাজার অংশ ভরাট করছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে এ অংশের ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশন পর্যন্ত ভরাট করা হয়েছে। তবে কাজ শেষে মাটি সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বাসাবো, নন্দীপাড়া, খিলগাঁও, রামচন্দ্রপুর, কাটাসুর, সেগুনবাগিচা, ধোলাইখাল, বেগুনবাড়ী, রূপনগর, বাউনিয়াবাদসহ ১০টি খাল সরকারি সংস্থার দখলের মুখে পড়েছে। এসব খাল দখল করে কেউ তৈরি করেছে সড়ক, কেউবা বানিয়েছে ব্রিজ, আবার কেউ নিজেদের ইচ্ছামতো বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে। খালে স্থায়ী স্থাপনা তৈরি করায় তা উচ্ছেদ করা কঠিন বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। ফলে প্রতিবছর বর্ষায় পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হয়ে নগরে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে।
শুধু রাজধানী নয়, ঢাকার বাইরে জলাধার ভরাট করে সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। পুকুর-দিঘি-জলাশয়ের জন্য ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম। জমির চাহিদা বাড়াসহ নানা কারণে এসব জলাশয় ভরাট করে নির্মিত হচ্ছে স্থাপনা। বেসরকারি একটি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৪০ বছরে ২৪ হাজারের মতো পুকুর-দিঘি ভরাট হয়েছে চট্টগ্রামে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পস্ন্যানার্সের (বিআইপি) নির্বাহী বোর্ডের সদস্য পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান ওই পরিকল্পনা সংলাপে বলেছিলেন, ড্যাপ প্রতিপালনে ব্যর্থ হলে ও জলাধার রক্ষায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে ঢাকাকে বাঁচানো যাবে না। জলাশয় ভরাটের ক্ষেত্রে প্রভাবশালী মহল কিংবা বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিংবা প্রকল্পের নাম প্রায়ই শোনা যায়। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জলাশয় ভরাট করাটা অন্যায়, অন্যায্য ও অবৈধ। সরকারি সংস্থাগুলো যখন মহাপরিকল্পনা ও বিদ্যমান আইন না মেনে জলাশয় ভরাটে উদ্যোগী হয়, তখন অন্য দখলদার নিবৃত্ত করতে গিয়ে রাষ্ট্র ও সরকারের নৈতিক অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) ২০২৩ সালের ২৩ জুন প্রকাশিত প্রতিবেদন বলা হয়, সরকারি সংস্থা মৎস্য অধিদপ্তরের হিসাবে ১৯৮৫ সালেও ঢাকায় দুই হাজারের মতো পুকুর ছিল। ৭০ হাজার হেক্টর আয়তনের এসব জলাভূমি মাছ চাষ ও গোসলসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হতো। পুরান ঢাকায় ছিল ১২০টির মতো পুকুর। আশপাশ এলাকার তাপমাত্রা কমাতে এসব পুকুরের ভূমিকা ছিল। ঢাকায় এখন সাকল্যে ২৪১টি পুকুর কোনোমতে টিকে আছে। আর পুরান ঢাকায় টিকে আছে মাত্র ২৪টি। বাকি ৯৬টি পুকুরই ভরাট হয়ে গেছে।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যে ২৪১টি পুকুর দখলমুক্ত অবস্থায় টিকে আছে তার বড় অংশই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও মন্দিরসহ নানা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের আওতায় রয়েছে। এ জন্য প্রভাবশালীরা দখল করতে পারছে না। আর ৮৬টি পুকুরের অস্তিত্ব থাকলেও তা সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোর দখলে চলে গেছে। এর মধ্যে সরকারি সংস্থা দখল করে আছে সাতটি পুকুর আর বেসরকারি সংস্থা দখল করেছে ৭৯টি।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান সম্প্রতি একটি সেমিনারে বলেন, 'পুকুর, জলাশয় ভরাট হয়ে যাচ্ছে তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়েছে। মান্ডা, জিরনিসহ বেশ কয়েকটি খাল উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জলাশয় রক্ষা ও দুর্যোগ ঝুঁঁকি হ্রাস করতে ডিএসসিসি কাজ করছে।'
বর্তমান বাস্তবতায় ঢাকাকে আদর্শ বাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করার সম্ভাবনা দেখছেন না বিআইপির সভাপতি আদিল মুহাম্মদ খান। নগর সংলাপে তিনি বলেন, 'ঢাকাকে হয়তো জোড়াতালি দিয়ে কোনোমতে চলার মতো করা সম্ভব। তবে বর্ধিত ঢাকা (দুই সিটি করপোরেশনে যুক্ত হওয়া নতুন এলাকা) এবং পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প যেন পরিকল্পিত হয়, সেই চেষ্টা থাকা দরকার। তবে কাজটি করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা।'