অনন্ত গ্রম্নপ কর্তৃপক্ষের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অনলাইন ডেস্ক
গত ১৯ নভেম্বর যায়যায়দিনে প্রকাশিত 'অনন্ত ডেনিমের শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি' শীর্ষক সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনন্ত গ্রম্নপ ও বর্তমানে ইউনাইটেডে কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান শরীফ জহির। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি লিমিটেডের বিরুদ্ধে কিছু কাস্টমস কর্মকর্তা ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে যা ঈদের ছুটির প্রাক্কালে কোম্পানির কাছ থেকে অযাচিত সুবিধা আদায়ের ব্যর্থ প্রচেষ্টা ছিল। এই মিথ্যা অভিযোগের জবাবে অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি লিমিটেড জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে বিচার চায়। অনন্ত ডেনিম টেকনোলজি লিমিটেড অনুরোধের প্রেক্ষিতে এনবিআর বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করে। বিগত পাঁচ বছর ধরে বিষয়টি গভীরভাবে পুনঃনিরীক্ষা করার পর তাদের মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এমনকি কোনো জরিমানাও আরোপ করা হয়নি।
প্রতিবাদলিপিতে আরও বলা হয়েছে, '২০২২ সালের ২ মার্চ ভারত থেকে রপ্তানি সুবিধার আওতায় আমদানি করা ডেনিম ফেব্রিক্সের ট্রাক মাদকসহ অবৈধ পণ্য পরিবহণের সঙ্গে জড়িত নয়। এছাড়াও ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি পানামা ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে শরীফ জহিরের নাম আসা তথ্যটি অসত্য। শরীফ জহিরের বিশ্বখ্যাত রোলস রয়েস শুল্ককর ফাঁকি গাড়িটি উদ্ধারের বিষয়ে প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, গাড়িটি সঠিকভাবে অঝণঈটউঅ সিস্টেমে এন্ট্রি করা এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (ঈ্ঋ) এজেন্টের দ্বারা ঐঝ কোড গণনা করতে ভুল করেছে এবং আমদানি শুল্ক ভুলভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।
প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়, শরীফ জহির একজন ব্যবসায়ী এবং তিনি কোনো রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। এই ধরনের প্রতিবেদন স্বার্থান্বেষী মহলের হীন স্বার্থে একজন সফল ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তার সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে এবং পত্রিকার প্রতিবেদনে সাংবাদিকতার নৈতিকতা ও পেশাগত মান বজায় রাখার বিষয়টি উলেস্নখ করেন।
প্রতিবেদকের বক্তব্য : প্রতিবেদনটির শুরুতে বলা হয়েছে 'অনন্ত ডেনিমের শত কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি' নিয়ে নতুন করে জল্পনা-কল্পনা চলছে। কারণ ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে যে সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বন্ডেড রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে এনবিআর নতুন করে তদন্ত করবে। অনন্ত ডেনিমের বিরুদ্ধে অভিযোগটি তৎকালীন দ্বিতীয় দফায় তদন্ত করে। সেই সময় কাস্টমস কর্মকর্তাদের হিসেবে, দ্বিতীয় দফায় তদন্তে একশ তিন কোটি ছেষট্টি হাজার থেকে ১৭ কোটি টাকা কম হয়েছিল। তারপরও দায়মুক্তি পায়নি প্রতিষ্ঠানটি। এতো বছর পরে কীভাবে দায়মুক্তি পেয়েছে? এ নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। তথ্যগুলো কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট, এনবিআর ও দুদক থেকে প্রাপ্ত ডকুমেন্ট ও কর্মকর্তাদের বক্তব্যের অনুসারে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য প্রথম সারির গণমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে ও একাধিক সোর্স মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিবেদনটি তৈরির আগে শরীফ জহিরের সঙ্গে একাধিকবার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যোগাযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও শরীফ জহিরের বিরুদ্ধে দুদকের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে আরও একটি রিপোর্ট তৈরিকালে তিনি এ প্রতিবেদককে কল দিয়ে মামলার হুমকি প্রদান করেন। যার একটি কল রেকর্ড প্রতিবেদকের কাছে সংগৃহীত রয়েছে।