বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

টানা ৮ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
  ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
টানা ৮ দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড
সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রায় জবুথবু পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন দুই নারী-পুরুষ। ছবিটি মঙ্গলবার তোলা -সংগৃহীত

টানা আট দিন ধরে দেশের সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। মঙ্গলবার সবনিম্ন্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। এর আগের দিন গত সোমবার এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৬ নভেম্বর থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা আট দিন দেশের সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়ায়।

এদিকে রাতের সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা কমে আসলেও সকাল থেকে সূর্যের প্রখর রোদের কারণে কমছে না দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায় এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় সর্বোচ্চ ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক জীতেন্দ্র নাথ রায় জানান, 'পঞ্চগড়ে গত আট দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায়। সকাল থেকে কড়া রোদ থাকায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমছে না। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।'

এদিকে দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডার কারণে বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালগুলোর বহিঃবিভাগে প্রতিদিন অনেক রোগী আসছে। এদের অনেককেই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর যাদের অবস্থা কিছুটা খারাপ তাদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকরা এ মুহূর্তে বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (শিশু) ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, 'গত প্রায় ১৫-২০ দিন ধরে প্রতিদিন বহিঃবিভাগে ৩৫০ থেকে চারশ' জনের মতো শিশু রোগী আসছে। অবস্থা যাদের কিছুটা ভালো তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরামর্শ দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অবস্থা ভালো না হলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ১৪টি শয্যা থাকলেও আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় ২২টি শয্যা করেছি। কিন্তু প্রতিদিন এখানে ৫০-৮০ জন রোগী ভর্তি থাকছে। শয্যা না পেয়ে অধিকাংশই ওয়ার্ডের মেজে অথবা বাইরের বারান্দায় অবস্থান করে চিকিৎসা নিচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে