সেনাবাহিনীকে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত করার প্রত্যয় সেনাপ্রধানের
প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রাম বু্যরো
সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, শপথগ্রহণের মধ্য দিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওপর দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব ন্যস্ত হলো।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিস্থ বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) ৮৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি ও ৫৯ বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাবাহিনীপ্রধান মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তিনি কৃতী ক্যাডেটদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
এরপর সেনাপ্রধান মনোমুগ্ধকর কুচকাওয়াজ প্রদর্শনের জন্য একাডেমির কমান্ড্যান্ট, সংশ্লিষ্ট সব অফিসার, জেসিও, এনসিও, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
দীর্ঘ তিন বছরের কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে এই মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ৮৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের মোট ২১৩ জন অফিসার ক্যাডেট এবং ৫৯ বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ১৪ জন অফিসার ক্যাডেট এবং চারজন ট্রেইনি কর্মকর্তা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ২০৭ জন পুরুষ ও ২৪ জন নারী কর্মকর্তা রয়েছেন। ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার আব্দুলস্নাহ আল আরাফাত ৮৭ বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা ক্যাডেট হিসেবে অসামান্য গৌরবমন্ডিত 'সোর্ড অব অনার' এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য 'সেনাবাহিনীপ্রধান স্বর্ণপদক' অর্জন করেন।
প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেট কর্তৃক দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথগ্রহণের পর তাদের বাবা-মা ও আগত অতিথিদের নবীন অফিসারদেরর্ যাঙ্ক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সেনাপ্রধান বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছলে তাকে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম এরিয়া এবং বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির কমান্ড্যান্ট অভ্যর্থনা জানান।
অনুষ্ঠানে বন্ধুপ্রতীম দেশ শ্রীলংকান মিলিটারি একাডেরির কমান্ড্যান্ট, দেশি-বিদেশি উচ্চপদস্থ সামরিক ও অসামরিক কর্মকর্তা, সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের বাবা-মা ও অভিভাবক এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে এই বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।