গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্ণা, কুষ্ঠ ও এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্যে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত দেশে গত এক বছরে এক হাজার ৪৩৮ জন নতুন করে এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশে এ বছর এইডসে মারা গেছেন ১৯৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, দেশে নতুন এইচআইভি সংক্রমিত রোগীর ৪২ শতাংশ সমকামী। এরপরই রয়েছেন বিদেশফেরত প্রবাসী শ্রমিকরা।
এ ছাড়া যৌনকর্মী, মাদকসেবীরা ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষও আছেন। আক্রান্তদের ১০ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বলেও জানা গেছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে- ৪০৬ জন, চট্টগ্রামে ৩২৬, খুলনায় ১৫৪, রাজশাহীতে ১৪৭ এবং অন্যান্য বিভাগে ৪৪-৮৬ জন পর্যন্ত।
এসব রোগীর ৮৪ শতাংশই ২১-৪৯ বছর বয়সি অর্থাৎ তরুণ ও মধ্যবয়সিদের মধ্যে আক্রান্তের হার সবচেয়ে বেশি। আক্রান্ত বাকি ১৬ শতাংশের বয়স ১৯-২৪ বছরের মধ্যে।
চলতি বছর যতজন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিবাহিত। আর অবিবাহিত রয়েছেন ৪০ শতাংশ। বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত রয়েছেন পাঁচ শতাংশ।
এইডসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ শতাংশ, নারী ২২ শতাংশ ও হিজড়া এক শতাংশ। মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগের বয়স ৬০ বছরের বেশি।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে রোববার পালিত হয়েছে 'বিশ্ব এইডস দিবস'। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, 'অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে।'
বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয় ১২ হাজার ৪২২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন দুই হাজার ২৮১ জন।
যদিও ইউএনএইডসের অনুমিত হিসাবে দেশে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৪ হাজার।