ব্যাংক থেকে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
চিঠিতে ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের চাক্তাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবিলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসের নামে নেওয়া ঋণ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ মনিটরিং সংক্রান্ত নথিপত্রও চাওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে বৃহস্পতিবার পাঠানো চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আগামী ৮ ও ৯ ডিসেম্বর দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম।
অভিযোগটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত চিঠিটি পাঠিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
৮ ডিসেম্বর যাদেরকে ডাকা হয়েছে তারা হলেন : বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জুবাইর হোসেন, খোরশেদুল আলম, দেবাশীষ বিশ্বাস, মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বাবুল, রুবেল চৌধুরী, অতিরিক্ত পরিচালক ছলিমা বেগম ও যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, বেলাল হোসেন, অনিক তালুকদার।
৯ ডিসেম্বর যেতে বলা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক সৈয়দ মু. আরিফ-উন-নবী, অতিরিক্ত পরিচালক শংকর কান্তি ঘোষ, মো. আব্দুর রউফ, মো. মঞ্জুর হোসেন খান, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মো. শোয়াইব চৌধুরী, উপপরিচালক লেনিন আজাদ পলাশ ও পরিচালক মো. সরোয়ার হোসাইনকে।
একই ঘটনায় এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ জন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২০ ও ২১ নভেম্বর ডেকেছিল দুদক। তবে তারা হাজির হননি। এরপর তাদেরকে আবার ডাকা হয়েছে।
দুদকের অভিযোগে, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরী, জুবিলি রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসসহ অন্যরা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের অভিযোগটি অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেওয়া হয়।
দুদক মনে করছে, নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঋণ জালিয়াতির সুবিধাভোগী এস আলম গ্রম্নপ। অভিযোগ অনুসন্ধানে নথিপত্র সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ করছে সংস্থার অনুসন্ধান দল।