ঝালকাঠির বাড়ইবাড়ি এলাকায় বৃহস্পতিবার সাবেক এমপি মুহাম্মদ শাহজাহান ওমরের গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয় -সংগৃহীত
ঝালকাঠির রাজাপুরে সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ওমরের (বীর উত্তম) গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। এর পরপরই থানায় মামলা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন এই ব্যারিস্টার। পুলিশ বলছে, কাঠালিয়া থানার একটি নিয়মিত মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
বিএনপির সাবেক এই ভাইস চেয়ারম্যান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বৃহস্পতিবার তার রাজাপুর সফরের আগাম খবরে বুধবার সন্ধ্যায় রাজাপুর উপজেলা বিএনপি বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিল থেকে একটি গ্রম্নপ পৃথক হয়ে উপজেলা সদরে শাহজাহান ওমরের বাসভবনে হামলা চালায়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার গস্নাস ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি গাড়ি নিয়ে উপজেলার সীমান্ত বাড়ইবাড়ি অতিক্রম করে উত্তর পিংড়ি এলাকায় পৌঁছালে তার গাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে তার গাড়ি ক্ষতবিক্ষত হয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। আহত হন শাহজাহান ওমর। আহত অবস্থায় তিনি গ্রামের ভেতর দিয়ে সাংগর গ্রামের বাড়িতে অবস্থান নেন।
কিছুক্ষণ পর সাড়ে ১০টার দিকে রাজাপুর থানায় গাড়ি ভাঙচুরের মামলা দিতে গেলে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা বাইরে থেকে থানা ঘেরাও করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে কাঠালিয়া থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, 'আমি সাংগর গ্রামের বাড়িতে বোনের কবরস্থানে কাজ করানোর জন্য আসার পথে হামলার শিকার হয়েছি। আমার গাড়ি ভাঙচুর করে ব্যবহারের অনুপযোগী করেছে। আমাকেও আহত করেছে। ইচ্ছা ছিল বাড়ির কাজ শেষ করে লেবুখালী ক্যান্টনমেন্টে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেব। কিন্তু এখন তো আমার গাড়ি নাই, কীভাবে সেখানে যাব। আমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রাজাপুর থানায় আসছিলাম মামলা দিতে। পুলিশ বলছে আমাকে কাঠালিয়া থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু আমার নামে মামলা আছে তা আমি জানতাম না।'
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহিতুল ইসলাম বলেন, 'কাঠালিয়া থানার একটি নিয়মিত মামলায় সাবেক এমপি ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।'