জামি'য়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা দখলের অভিযোগ

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ এলাকার জামি'য়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়ে দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটির মুতাওয়ালস্নী ও পরিচালনা পরিষদ। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে মাদ্রাসার মুতাওয়ালস্নী ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলহাজ আব্দুর রহিম জানান, গত ৫ আগস্ট রাত ১১টায় মাওলানা মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে তার পরিবারের লোকজনসহ শতাধিক সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মাদ্রাসাটি দখল করে নেয়। পরবর্তী সময়ে ওয়াকফ প্রশাসনকে ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বৈধ কমিটিকে উচ্ছেদ করে তাদের দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি আরও জানান, গত ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর এই জবরদখলকারী শাইখুল হাদিস আলস্নামা আজিজুল হকের ঘোষিত অবৈধ আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রমের উপর আদালত ইনজাংশন জারি করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট তার আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে শাইখুল হাদিসের সন্তানদের থার্ড পার্টি হিসেবে উলেস্নখ করে তাদের আবেদনও নকচ করে দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে ঢাকা জেলার ডিসি তাদেরকে উচ্ছেদ করে মাদ্রাসার বৈধ পরিচালনা পরিষদের কাছে দখল বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাদ্রাসা নিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। গত ৫ আগস্ট আদালতের আদেশ অমান্য করে দখলদার মাওলানা গিয়াস উদ্দিন অসত্য তথ্য দিয়ে ওয়াকফ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। যে কমিটিকে ৩ বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল সেই কমিটিকেই অদৃশ্য কারণে তিন মাসের মাথায় কোনো নোটিশ না দিয়েই বাতিল করে দেন। বৈধ পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার অবৈধ দখলমুক্ত করতে আলহাজ আব্দুর রহিম ছয়টি দাবি জানান। দাবিগুলো হল, যেভাবে বেআইনিভাবে মাদ্রাসাটি দখল করেছে তার প্রতিকারে নিজ দায়িত্বে মাদ্রাসা ত্যাগ করে বৈধ পরিচালনা পরিষদের কাছে চাবি বুঝিয়ে দিতে হবে। ওয়াকফ প্রশাসককে অন্যায্য ও বেআইনি নোটিশ বাতিল করতে হবে এবং বৈধ কমিটি বহাল রেখে দখলদারদের স্বেচ্ছায় মাদ্রাসা ত্যাগে ডিসির মাধ্যমে তাদের উচ্ছেদ করে বৈধ কমিটিকে বুঝিয়ে দিতে হবে। ভবন জবরদখলে যেসব লুটপাট, ভাঙচুর এবং সম্পদ ও নগদ অর্থ তছরুপ করা হয়েছে সরকারকে তার ক্ষতিপূরণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জবর দখলকারী ও বেআইনিভাবে জারি করা ওয়াকফ প্রশাসনের নোটিশ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওয়াকফ প্রশাসনের দুর্নীতির বিষয়ে তারা যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন।