৬ দাবিতে মানববন্ধন করেছে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদ

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বৈষম্যবিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদ ছয় দাবিতে বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে -ফোকাস বাংলা
স্বতন্ত্র পরিদপ্তর গঠন ও ডিপেস্নামাধারীদের দশম গ্রেড পদমর্যাদা প্রদানসহ ছয় দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বৈষম্যবিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদ। এ সময় সংগঠনের নেতারা পেশাজীবীদের দীর্ঘকাল বৈষম্যের আশু সমাধানের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবিগুলো তুলে ধরেন। বুধবার সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ একযোগে রাজধানীর ১৪টি হাসপাতালসহ সারাদেশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বৈষম্যবিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদের সভাপতি আব্দুস সামাদ ও মহাসচিব মো. রিপন শিকদার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয়গুলো জানিয়েছেন। সংগঠনের নেতারা বলেন, চিকিৎসক-নার্স ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের পেশাগত সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে সবাইকে নিয়েই একটি অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা একটি টিমওয়ার্ক। যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তত্ত্বাবধানে চিকিৎসক ও নার্সদের পাশাপাশি মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তারা বলেন, দেশে ৪০ হাজারেরও বেশি পেশাজীবী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ডিপেস্নামা ফার্মাসিস্টদের কোনো স্বতন্ত্র পরিদপ্তর বা উইং নেই। এটি খুবই দুঃখের বিষয়। স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা উভয় বিভাগে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজি শিক্ষা ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পেশাজীবীদের বদলি, পদোন্নতি, উন্নত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধি ও সমন্বয়ের জন্য একটি উইং বা পরিদপ্তর বা অধিদপ্তর প্রয়োজন। এই ৪০ হাজারেরও বেশি জনবলের পরিকল্পনামাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য কোনো প্রকার দপ্তরের ব্যবস্থা না থাকা দুঃখজনক। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মানবন্ধন শেষে বিপিএ আহ্বায়ক ও পেশাজীবী নেতা নাছির আহাম্মেদ রতন বলেন, অবিলম্বে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ছাত্র-শিক্ষক-পেশাজীবীদের ছয় দফা দাবি মেনে নিয়ে সেটা অতি দ্রম্নত বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন শূন্যপদ থাকার পরও ১৪ বছর ধরে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ। পাঁচ হাজার ৯৭৫ বিপরীতে সরকারি চাকরিতে কর্মরত আছেন মাত্র চার হাজার ১০৬ জন। যেখানে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যার অনুপাতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সংখ্যা হওয়ার কথা ছিল ৮০ হাজারেরও বেশি। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- মুগদা মেডিকেল কলেজ শাখার বৈষম্যবিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাসান, কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম, মোক্তার হোসেন, সুজন সরকার, নাইমুর রহমান এবং মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।