অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগের মধ্যে বিএনপিও এ বিষয়ে তাদের ভাবনা জনগণের কাছে তুলে ধরতে চায়। এ জন্য দলটি তাদের ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে তৃণমূল যাওয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে। ১৯ নভেম্বর থেকে এ বিষয়ে কর্মশালা শুরু হয়েছে, দশ বিভাগে চলবে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২৬ নভেম্বর সিলেট, ৩০ নভেম্বর কুমিলস্না ও ফরিদপুর, ২ ডিসেম্বর খুলনা ও ময়মনসিংহ, ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম এবং ৮ ডিসেম্বর রংপুর ও বরিশালে ৩১ দফা নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কর্মশালার সূচি চূড়ান্ত করা হয়। এছাড়াও বৈঠকে নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সংস্কারের যে প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে, সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, কর্মশালার মাধ্যমে বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারে তাদের পূর্বের উদ্যোগ এবং এ বিষয়ে জনমত তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করছে।
দলের নেতারা মনে করছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের ধারণা প্রথমে বিএনপি জনসম্মুখে এনেছিল। কিন্তু রাজনৈতিক নানা ঘটনা প্রবাহের কারণে সেই উদ্যোগের বিষয়টি অনেকে ভুলে গেছেন। দলের নেতারা বলেন, মূলত রাষ্ট্র নিয়ে বিএনপির চিন্তা জনগণের মধ্যে তুলে ধরতে কর্মশালার উদ্যোগ নিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন সিনিয়র নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের যে বিষয়গুলো জনসম্মুখে আনছে তা বিএনপির পক্ষ থেকে কয়েক বছর আগেই বলা হয়েছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের ম্যান্ডেট নেই। তারপরও একটি গণ-অভু্যত্থানের সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর চাহিদা অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মতো নূ্যনতম সংস্কার করা উচিত। অন্য সংস্কার নির্বাচন সরকার করবে। বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়। দলের নেতারা অভিমত দেন, শুধু নির্বাচন কমিশন সংস্কারের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা যেতে পারে। এ বিষয়ের পর জোর দিয়ে দলটি তাদের সংস্কার প্রস্তাব পেশ করবে।