নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় যুবদলের স্থানীয় এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার ক্যাডারদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছগ্রাম ঘাটে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এদিন রাতেই তার মৃতু্য হয়।
নিহত মো. ইউনুস আলী এরশাদ (৪০) চরফকিরা ইউনিয়নের দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছগ্রামের রইছুল হকের ছেলে। পেশায় নৌকার মাঝি এবং তিন সন্তানের জনক এরশাদ চরফকিরা ইউনিয়নের
৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। একই ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিও ছিলেন তিনি।
নিহতের ছোটভাই সামছুদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দিয়ারাবালুয়া গুচ্ছগ্রাম ঘাটে লিজ নেওয়া ভিটায় দোকানঘর নির্মাণ করতে যান এরশাদ। এ সময় পূর্বশত্রম্নতার জেরে স্থানীয় জলদসু্য নিজামের নেতৃত্বে তার বাহিনীর সদস্য সমীর, জাবেদ, ওবায়েদ, জিয়া, সুজন, তারেক এরশাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে এরশাদের পেটের নাড়িভুড়ি বেরিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে এবং পরে জেলা সদরে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি দেখে রাতেই চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে ফেনীতে মৃতু্য হয় তার।
হামলাকারীরা এরশাদের অপর তিন ভাই জহির উদ্দিন (৩৩), নিজাম উদ্দিন (২৮) ও ফরহাদ (২৪) ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করে।
সামছুদ্দিন আরও বলেন, 'কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাঞ্ছুরুল হক বাবর বামনী নদী ও সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাছ ধরার প্রত্যেক ট্রলার থেকে নিজাম ডাকাতের বাহিনী দিয়ে চাঁদা আদায় করেন। নিহত এরশাদের মাছ ধরার ট্রলার থাকায় তার থেকেও ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। পরে পাঁচ হাজার টাকা দিলেও বাকি টাকা না দেওয়ায় নিজাম ডাকাত ও তার বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে এরশাদের ওপর হামলা চালানো হয়।'
তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মাঞ্ছুরুল হক বাবর নদীতে চাঁদাবাজি এবং হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তার দাবি, রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করতে না পেরে উপজেলা বিএনপির এক নেতা তার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্রে করছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, 'নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'