বাংলাদেশ-আমেরিকা মৈত্রী প্রকল্প

স্থানীয় ১৮ এনজিওকে ৮৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা অনুদান

প্রকাশ | ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ-আমেরিকা মৈত্রী প্রকল্পের পক্ষ থেকে স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করছে এমন ১৮টি বেসরকারি সংস্থাকে (এনজিও) প্রথম বছরের (২০২৪ অর্থবছর) জন্য অনুদান হিসেবে ৮৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা (৭.৫৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) দেওয়া হয়েছে। ইউএসএআইডি'র অর্থায়নে ব্র্যাক এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। মৈত্রী প্রকল্পের আওতায় অনুদান পাওয়া সংস্থাগুলোর কার্যকরী দক্ষতা বাড়ানোর সক্ষমতা উন্নয়নেও সহায়তা করা হবে। অনুদানপ্রাপ্ত স্থানীয় এনজিওগুলো কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিশু অধিকার ও সুরক্ষাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে কাজ করছে। নির্বাচিত এনজিওগুলোকে তাদের উদ্ভাবনী কর্মপদ্ধতি ও আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতা ও প্রতিশ্রম্নতির ভিত্তিতে বাছাই করা হয়েছে। বুধবার, রাজধানীর হোটেল শেরাটনে অনুষ্ঠিত 'গ্রান্ডস অ্যাওয়ার্ড সেরেমনি'তে এসব তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন এনজিও বিষয়ক বু্যরোর মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএসএআইডি'র বাংলাদেশ মিশন ডিরেক্টর রিড অ্যাশলিম্যান এবং ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্‌। মৈত্রী প্রকল্পের প্রথম পর্বে অনুদান প্রদানের ক্ষেত্রে পরিবেশগত প্রতিকূলতার ভিত্তিতে কিছু অঞ্চলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে খরাপ্রবণ রাজশাহী ও রংপুর; হাওড় অঞ্চলের মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জ এবং উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে খুলনা ও বরিশালকে বেছে নেওয়া হয়। নির্বাচিত স্থানীয় এনজিওগুলো এই এলাকাগুলোর টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করবে। মৈত্রী প্রকল্পটি ইউএসএআইডি'র অর্থায়নে পরিচালিত একটি পাঁচ বছর মেয়াদি উদ্যোগ, যা এফএইচআই-৩৬০ এবং ব্র্যাক ইউএসএ-এর সহযোগিতায় বাস্তবায়ন করছে ব্র্যাক। প্রকল্পটি স্থানীয় পর্যায়ের এনজিওগুলোর উদ্ভাবনী সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং তাদের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। কৃষি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাসহ অগ্রাধিকার খাতগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে এই প্রকল্প বাংলাদেশের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি এবং দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাবের জন্য কাজ করছে। স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে কাজের মাধ্যমে মৈত্রী প্রকল্পটি আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধশালী একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে এবং দেশের উন্নয়নের বৃহত্তর লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সংহতি বজায় রেখে কাজ করবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি