নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আমরা দিন দিন বড় রকম সংকটের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। কত রকম আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদেশ থেকে ডেকে এনে সংবর্ধনা দিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হলো। কিন্তু তিনি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা পর্যন্ত করতে পারলেন না। সবাই বলে তিনি বড় পারফর্মার। কিন্তু ক্ষমতা নেওয়ার ১০০ দিনেও মানুষের মধ্যে তেমন আশা সঞ্চার করতে পারেননি তিনি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত 'অন্তর্র্বর্তী সরকারে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের' প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'ড. ইউনূস আছেন বলে আমাদের অর্থনীতির একটু গতি ফিরছে। আগের সরকারকে কেউ বিশ্বাস করতো না। বিদেশ থেকে কেউ টাকা দিতো না। দিলেও সেটা ব্যাংকে দিতো না। চুরি করে দিতো, ফলে রিজার্ভে প্রভাব পড়তো না। আমাদের ব্যাংক আগের চাইতে ভালো হচ্ছে। তবে জিনিসের দাম কমে না। জনগণের কষ্ট, দুর্দশা থেকেই গেছে।'
তিনি বলেন, 'সংস্কার বলেন, যাই বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকার চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার রাখে না। আপনার প্রধান কাজ গণতন্ত্র নির্মাণ করার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।'
সরকার ক্ষমতা নিয়ে ছেলে খেলা করছে মন্তব্য করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, 'আমি জানতে চাই, কার পরামর্শে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী ও শেখ বসির উদ্দিনকে উপদেষ্টা পরিষদে নেওয়া হয়েছে? কি বিবেচনায়? এই সরকারকে আমি দ্বিধান্বিত দেখি। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কী রকম প্রতিষ্ঠা করবেন? একটা ভালো নির্বাচন কীভাবে করবেন? এমন কোনো স্পষ্ট ধারণা আমাদের দিতে পারেননি। কোনো কথাও বলেননি তিনি।'
গণফোরামের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, 'আমাদের আহত ভাইয়েরা যারা মৃতু্য-যন্ত্রণায় দিন অতিবাহিত করছেন, তাদের আবার আন্দোলন করতে হয়! শেখ হাসিনা গেছে, ফ্যাসিস্ট গেছে, মাফিয়া গেছে কিন্তু ইউনূসের নেতৃত্বে একটা বোঝা আমাদের মাথায় চেপে বসেছে।'
দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচা আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।