আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এক বার্তায় জানান, আমুকে পশ্চিম ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ক্ষমতাচু্যত আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে বিষয়ে বার্তায় কিছু বলা না হলেও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে দলটির অন্য নেতাদের মতো আমুরও কোনো হদিস মিলছিল না। ওইদিন শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দ্বাদশ সংসদের ঝালকাঠিতে আমুর বাসবভনে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
পরে তার ওই বাসভবন থেকে প্রায় ৫ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ১৪ আগস্ট ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়। সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।
ষাটের দশকের ছাত্রলীগ নেতা আমির হোসেন আমু ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বরিশাল থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর পাঁচবার এমপি হওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
শমী রিমান্ডে
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানা পুলিশ। এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার এসআই মৃতু্যঞ্জয় পন্ডিত মিঠুন তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।