আজকের যায়যায়দিন

ময়মনসিংহ নগরীর রহমতপুর বাইপাস সড়ক এলাকায় আজাহার ফিলিং স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মো. হিমেল নামে এক প্রাইভেটকার চালক এবং আব্দুল কুদ্দুস (৮০) নামে এক বৃদ্ধের মৃতু্য হয়। এতে আহত হয়েছেন পাঁচজন। সোমবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত দুইজনের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কিছমত গ্রামে। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।

জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. মোফাজ্জল হোসেন জানান, ঘটনার সময় ঢাকা থেকে আনা একটি এলপিজি গ্যাসের ট্যাঙ্কলরি থেকে গ্যাস নামানো হচ্ছিল। পাশাপাশি একটু দূরেই একটি প্রাইভেটকারে তিতাস গ্যাস দেওয়া হচ্ছিল। এ সময় গ্যাস লিকেজ থেকে হঠাৎ এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে সাতটি গাড়ি অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি প্রাইভেটকার, তিনটি সিএনজিসহ অন্যান গাড়ি রয়েছে। এ সময় ভস্মীভূত প্রাইভেটকার থেকে মো. হিমেল নামের এক অগ্নিদগ্ধ

ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এক নারীসহ আরও পাঁচজন পুরুষ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। পরে সেখানে আব্দুল কুদ্দুস নামে আরও একজন মারা যান।

সাত জেলায় ঝরল ১৪ প্রাণ

এর আগে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের টানা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় এদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয় বলেও জানান সহকারী পরিচালক মো. মোফাজ্জল হোসেন। তবে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি জানিয়ে এই ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা কাজ করছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম। এ সময় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

ডিসি মো. মুফিদুল আলম জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুূৎফুন নাহারকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। প্রতিবেদন হাতে পেয়ে এই ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কীভাবে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং অগ্নিকান্ডের ঘটনায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তা ওই প্রতিবেদনে জানা যাবে।