দেশ এখন গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ এরশাদ উলস্নাহ বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন বায়তুল মোকাররম এলাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছিল। রাজপথে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যার পর সেই লাশের ওপর নৃত্যের ঘটনাটি দেশের ইতিহাসে একটি অন্যতম নৃশংস ঘটনা। তেমনিভাবে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও তারা নৃশংস হত্যাকান্ড চালিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হয়নি। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। দেশ এখন গণতন্ত্রের পথে যাত্রা শুরু করেছে।
সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট মোড়ে আওয়ামী নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চান্দগাঁও ওয়ার্ড বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এরশাদ উলস্নাহ বলেন, 'বহদ্দারহাট মুরাদপুর এলাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে গুলি চালিয়ে ওয়াসিম আকরামসহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু শত জুলুম নির্যাতন চালিয়েও তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। আমরা আশা করব, দ্রম্নত সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার সুন্দর একটি নির্বাচন দিতে পারলেই গণতন্ত্রের পূর্ণ বিজয় হবে।'
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, 'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের ভাবমূর্তি সুন্দর রাখার জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্দেশনা দলের সবাইকে মানতে হবে। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। একসময় বহদ্দারহাটে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভ্যান-গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করত। এই সন্ত্রাসীরা এখন পালিয়ে গেছে। ব্যবসায়ী ভাইয়েরা নির্ভয়ে ব্যবসা চালিয়ে যান। যেকোনো বিপদে বিএনপি আপনাদের পাশে থাকবে।'
চান্দগাঁও ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সভাপতি মোহাম্মদ নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল কবির রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান। এ ছাড়া বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আজম, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক মনির আহম্মেদ চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি নেতা জাফর আহমেদ, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু, শোলকবহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজী শামসুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক হাসান উসমান।