মির্জা ফখরুলের সঙ্গে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
প্রকাশ | ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন; আর নেপালি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি চিফ অব মিশন মিস ললিতা সিলওয়াল।
বৈঠকে পর আমীর খসরু বলেন, 'নেপালের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সম্ভাবনার নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।'
খসরু বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে নেপালে সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার প্রত্যাশা রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'মানবাধিকার, সুশাসন, দ্বি-পাক্ষিক ও আঞ্চলিক সম্পর্ক এর প্রতিফলন আমরা আগামী দিনগুলোতে দেখতে চাই।'
তিনি বলেন, 'দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা-সার্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সার্ক নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল সেটা আমরা সেই জায়গায় নিয়ে যেতে পারিনি। নেপালের রাষ্ট্রদূত তারাও সেটা মনে করছেন যে, সার্কের মাধ্যমে যে স্বপ্ন ছিল সেটা আমরা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারিনি। সেই কাজটা আমরা করতে যাব নেপালের পক্ষ থেকে সার্ককে সঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়া, দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নের জন্য, জনগণের উন্নয়নের জন্য, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য, যাতায়াতের জন্য যে একে অপরকে সহযোগিতা করার যে সুযোগ আছে, সম্ভাবনা আছে সেটা করার যে সুযোগ আছে সবাই মিলে আমরা সার্ককে সঠিক জায়গায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কাজ করব এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।'
নেপালের জলবিদু্যৎ বাংলাদেশে কীভাবে আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও আমীর খসরু জানিয়েছেন।
'হাসিনা রক্তপাতের উসকানি দিচ্ছেন'
এদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রক্তপাতের উসকানি দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর আজিমপুরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো এবং চিকিৎসাবিষয়ক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনার কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনার বিষয়ে আমি বলি, জন্মের পরে তার মুখে করলার রস চিপে দেওয়া হয়েছিল। আমাদের দেশে সাধারণত জন্মের পর বাচ্চাদের মধু খাওয়ানো হয়।
তিনি বলেন, গতকালও (রোববার) তার একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। সেখানে তিনি যুবলীগ-ছাত্রলীগকে বলছেন, সর্বোচ্চ প্রতিরোধ করো। অর্থাৎ রক্তপাতের হুমকির কথা তিনি বলেছেন। পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে উসকানি দিচ্ছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন যেন অতিরঞ্জিত কিছু করার কারণে কোনোভাবেই যেন ব্যর্থ না হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকেই সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, শেখ হাসিনা বসে নেই, তার আশ্রয়দাতারা বসে নেই।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, রাষ্ট্রপতি থাকলে কি থাকল না, তা নিয়ে আমরা দেশে কেন জটিলতা তৈরি করছি? কেন আমরা দেশে সংকট ডেকে নিয়ে আসব। এটি মুখ্য বিষয় নয়। আমরা শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি। তার দোসরদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা আমাদের দায়িত্ব।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের উদ্দেশে রিজভী বলেন, যেসব গণমাধ্যম নির্লজ্জের মতো শেখ হাসিনার পদতলে বসে চামচামি করেছে, শেখ হাসিনার প্রতিটি অপকর্মকে যারা বৈধতা দিয়েছে, তাদের বিষয়ে তো আপনারা কিছু বলেন না। শুধু রাষ্ট্রপতিকে নিয়েই আপনারা ব্যস্ত।
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের যাত্রাপথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের অবদান দেশের মানুষ ইতিহাসে লিখবে। একটি সোনালি অধ্যায় রচিত হবে। কিন্তু আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন কিছু করা যাবে না যাতে সংবিধানবহির্ভূত কোনো কিছু হওয়ার শঙ্কা থাকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-যুব সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন প্রমুখ।