যুক্তরাষ্ট্রে অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরের বিরুদ্ধে পরোয়ানা স্থগিত

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের বিদু্যৎ কোম্পানি স্মিথ কোজেনারেশনের একটি সালিশি মামলায় বাংলাদেশের অন্তর্র্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। তবে সে পরোয়ানা স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নিজের ভেরিফয়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। পোস্টে তিনি লিখেছেন, '১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক একটি চুক্তি বাতিলের দায়ে স্মিথ কোজেনারেশন ক্ষতিপূরণ দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি মামলা করে। ১৯৯৭ সালে স্মিথ কোজেনারেশন তৎকালীন বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে একটি বিদু্যৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল এবং দেশের উত্তরাঞ্চলে একটি বার্জ-মাউন্টেড বিদু্যৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য অনুমতি প্রদান করেছিল সরকার।' তিনি আরও লিখেন, 'এই মামলায় দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর ওয়াশিংটন ডিসি সার্কিট কোর্ট অনেকটা এখতিয়ার বহির্ভূত একটি রায় প্রদান করে, যা আজ শুক্রবার আদালত কর্তৃক স্থগিত করা হয়। যদিও বিষয়টির সাময়িক অবসান ঘটেছে তবে লুটেরা সরকারের দায় রক্তস্নাত বিপস্নবের মাধ্যমে গঠিত এই অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার নিতে পারে না। বাংলাদেশ সরকারের সে সময়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে এবং বিষয়টি বর্তমান সরকারের নজরে না এনে ধামাচাপাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।' এর আগে, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি জানায় একটি প্রতিবেদন করে আমেরিকাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ল৩৬০। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ইউএস ডিস্ট্রিক্ট বিচারক কার্ল জে নিকোলস স্মিথ মার্কিন মার্শাল সার্ভিসকে ওই দুজন ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভায় যোগ দিতে গত ২১ অক্টোবর সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে যান অর্থ, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। ২৬ অক্টোবর শনিবার পর্যন্ত চলবে এই সভা। অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র সফরকারী দলে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ সাতজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা।