ভারতের ওড়িশা উপকূলে তান্ডব চালিয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'দানা' সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। ফলে দেশের চার সমুদ্র বন্দরের সতর্কতা সংকেতও নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে এই ঘূর্ণিঝড়ের আর কোনো প্রভাব না থাকায় তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মলিস্নক বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশায় সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে আছে। আরও দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হবে। আমাদের এখানে এর কোনো প্রভাব নেই আর।'
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে দেশের চার সমুদ্র বন্দরে বুধবার থেকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে আসতে বলেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার আবহাওয়ার এক বার্তায় বলা হয়, সমুদ্র বন্দরগুলোতে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
গত সোমবার আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির পর তা ধাপে ধাপে শক্তিশালী হয়ে বুধবার সকালে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পায়। পরে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করে।
তখন সাইক্লোন সংক্রান্ত আঞ্চলিক সংস্থা এসকাপের তালিকা অনুযায়ী এ অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয় 'দানা'। এটা কাতারের দেওয়া নাম, যার অর্থ অতি সুন্দর ও মূল্যবান মুক্তা।
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং বরিশাল, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যান্য এলাকায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে চুয়াডাঙ্গায়। এছাড়া রাজশাহীতে ৩৮, যশোরে ৩০ মিলিমিটারসহ দেশের দুয়েক জায়গায় কম-বেশি বৃষ্টি হয়েছে।