অন্তর্র্বর্তী সরকারকে 'বিপস্নবী সরকার' ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট

অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারকে 'বিপস্নবী সরকার' হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ এবং বিষয়টি নিয়ে সরকারের নীরবতাকে বে-আইনি ঘোষণা করে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে জুলাই বিপস্নবে জীবন উৎসর্গকারী ও আহতদের ২০২৪ সালের 'মুক্তিযোদ্ধা' হিসেবে সম্মানিত করার ঘোষণাও চাওয়া হয়েছে এ আবেদনে। মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে গত বুধবার রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এএসএম শাহরিয়ার কবির। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং আইন উপদেষ্টার ব্যক্তিগত সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। শনিবার ব্যারিস্টার শাহরিয়ার কবির বলেন, ''গত ৫ আগস্ট বিপস্নবের পর বর্তমান সরকার শুধু সংবিধানের বাইরে নয়, সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের বাইরেও গঠিত। যদি এমন কোনো ঘোষণা না থাকে, তাহলে আদালত বর্তমান সরকারকে 'অসাংবিধানিক' ঘোষণা করতে পারে।'' তিনি আরও বলেন, 'একটি বিপস্নবী সরকারকে সামরিক অভু্যত্থান বা আদালতের রায় দিয়ে উৎখাত করা যায় না। তবে সংবিধানের জরুরি বিধানের অধীনে একটি বিপস্নবী সরকার গঠন করা যেতে পারে।' রিট আবেদনে আরও বলা হয়- বিপস্নবের তরঙ্গ বিচার বিভাগ, প্রেস, প্রশাসন এবং একটি ঐক্যমতে গঠিত সরকার জীবনের সব স্তরকে প্রভাবিত করেছে, যা একটি বিপস্নবী সরকার হিসেবে সংবিধানের আওতার বাইরে। কিন্তু সরকার আন্দোলনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে এমন কোনো ঘোষণা প্রকাশ করেনি। তাছাড়া বিপস্নবে জীবন উৎসর্গকারী ও আহতদের ২০২৪ সালের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও স্বীকৃতি দেয়নি।