দুই দিন আগে রাজধানীতে দুই ট্রেন লাইনচু্যতির ঘটনায় যে সূচি বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তাতে সিলেটগামী 'জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস' এবং জামালপুরগামী 'অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসের' যাত্রা বাতিল করেছে রেলওয়ে।
কমলাপুর স্টেশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বলেন, 'সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। একই কারণে জয়ন্তিকা এবং অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।'
গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার গোপীবাগে নারায়ণগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেন লাইনচু্যত হয়। সেদিন মধ্যরাতে কমলাপুর স্টেশনের কাছে লাইনচু্যত হয় 'পঞ্চগড় এক্সপ্রেস'।
একইদিনে ঢাকায় দুটি ট্রেন লাইনচু্যত হওয়ায় শুক্রবার থেকে কমলাপুরের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ ব্যাহত হয়। পাশাপাশি ট্রেনের স্বয়ংক্রিয় সিগনাল ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ট্রেন চালানো হয় ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এতে ট্রেনের সময়সূচি গড়বড় হয়ে যায়, যা ঠিক হয়নি শনিবারও।
শনিবার সকালে ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটের ট্রেন ছেড়ে গেছে দেরিতে; তাতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। 'নীলসাগর এক্সপ্রেস' ট্রেনের যাত্রী ইকবাল হোসেন বলেন, 'সকাল পৌনে ৭টায় ঢাকা থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেস ছাড়ার কথা। তবে ১০টা পর্যন্ত ট্রেন ছাড়েনি। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছি স্টেশনে।'
পরে বেলা পৌনে ১২টায় এই ট্রেনটি ঢাকা ছেড়ে যায়।
সকালে কমলাপুর স্টেশনে আসেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল বাকী।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ট্রেনের স্বয়ংক্রিয় সিগনাল ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ট্রেনের সময়সূচিতে সমস্যা হয়েছে। বিকাল নাগাদ ট্রেনের সময়সূচি ঠিক হয়ে যাবে।
'রেলের ডিজি, সিগনাল ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলীরা আমাকে জানিয়েছেন দুপুরের মধ্যে সিগনালিং ব্যবস্থা ঠিক হয়ে যাবে। এটা পুনস্থাপিত হলে আজ বিকেল নাগাদ শিডিউলের যে দীর্ঘ একটা বিপর্যয়- এটা আমরা সহনীয় মাত্রার মধ্যে নিয়ে আসব।'
সচিব বলেন, যে ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে, ওই ট্রেনের যাত্রীরা চাইলে টিকিট ফেরত দিতে পারবেন।
'রিফান্ড করে দেওয়া হবে। অথবা কেউ যদি ওই রুটে চলা অন্য ট্রেনে যেতে চান, তাদেরকে আমরা অ্যালাউ করব। ওই ট্রেনটায় আপনি আগে যেতে পারবেন।'