নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের আগুনে এক পরিবারের ৬ জন দগ্ধ

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ডহরগাঁও এলাকার এক বাসায় জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ থেকে আগুন লেগে নারী ও শিশুসহ এক পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- পোশাক শ্রমিক বাবুল (৪০), তার স্ত্রী শেলী (৩৫) এবং তাদের চার সন্তান সোহেল (২০), মুন্নি (১৮), ইসমাইল (১১) ও তাসলিমা (৯)। শুক্রবার রাতে এ ঘটনার পর দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পস্নাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, দগ্ধদের মধ্যে বাবুলের শরীরের ৬৬ শতাংশ, সেলির ৩০ শতাংশ, সোহেলের ৭০ শতাংশ, মুন্নির ২০ শতাংশ, ইসমাইলের ৫৫ ও তাসলিমার ৬৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সাধারণত কারও শরীরের ৩০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেলেই আশঙ্কাজনক অবস্থা বিবেচনা করেন চিকিৎসকরা। 'চিকিৎসাধীন ছয়জনের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক,' বলেন চিকিৎসক তরিকুল। রূপগঞ্জের ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিক পরিবারটি ডহরগাঁও এলাকার একটি টিনশেড বাড়িতে থাকে, রাতে মশার কয়েল জ্বালিয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। সেই কয়েল থেকে আগুন লেগে যায়। স্থানীয়রা তাদের বার্ন ইনিস্টিটিউটে নিয়ে যায়' দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে আসা একজন তরিকুল বলেন, 'ডহরগাঁও ফকির ফ্যাশন গার্মেন্টসের পাশের একটি বাসায় রাত ১১টার দিকে আগুনের খবর পেয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু সেখানে না রাখায় তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। ঘটনাস্থলে দেখেছি বিছানার তোশক পোড়া, রুমের অনেক জায়গায় পোড়া এবং একটি কয়েল পড়েছিল।' কোনোভাবে ওই বাসায় গ্যাস জমেছিল, সেটাই আগুনের স্পর্শে আসার পর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে ধারণা তরিকুলের। দগ্ধ বাবুলের চাচা মোগল মিয়া বলেন, দুই শিশু বাদে দগ্ধ অন্যরা রূপগঞ্জের হকিরা ফ্যাশনে কাজ করতেন। তারা সবাই একটি কক্ষেই থাকতেন। কাজ শেষে বাসায় ফিরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় তারা। 'ধারণা করছি, লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে ওই ঘরে আগেই গ্যাস জমেছিল। পরে মশার কয়েল ধরাতে গেলে বিস্ফোরণে ছয়জন দগ্ধ হয়।'