জুলাই বিপস্নবে 'চিহ্নিত
সন্ত্রাসীদের' গ্রেপ্তার
দাবিতে অনশন
ম যাযাদি রিপোর্ট
জুলাই বিপস্নবে হামলাকারী 'চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের' এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আমরণ অনশনে বসেছেন পাঁচ শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় অনশনে বসেন তারা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাই বিপস্নবে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবিতে আপাতত ২৪ ঘণ্টার অনশন করছেন তারা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারের নিশ্চয়তা দিতে হবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই নিশ্চয়তা না দিলে অনশন চলতে থাকবে।
অনশনে বসেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০-২১ সেশনের আশিকুর রহমান জিম, মো. রেদোয়ানুল ইসলাম, রেজোয়ান আহমদে রিফাত। এ ছাড়াও রয়েছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ইমাম হোসেন ইমন, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি রব পাবলিক কলেজ সোহাইল মাহদিন।
আশিকুর রহমান জিম বলেন, 'জুলাই বিপস্নবে সময় হত্যাযজ্ঞ চালানো চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তার দাবিতে আমরা অনশনে বসেছি। এর মধ্যে যদি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের গ্রেপ্তারের নিশ্চয়তা না দেন তাহলে আন্দোলন চলমান থাকবে।'
রেজোয়ান আহমেদ রিফাত বলেন, 'আমরা দেখছি, বিভিন্ন চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশের বর্ডার দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে। শামীম ওসমানসহ বেশ কয়েকজনকে আমরা পালিয়ে যেতে দেখেছি। আমাদের কথা হলো, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা কতজনকে গ্রেফতার করেছে সে তথ্য আমাদের জানা নেই। সেনাবাহিনী দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তারা কীভাবে পালিয়ে যাচ্ছে? সেনাবাহিনী তাদের নিরাপত্তা দিচ্ছে কিনা, পালিয়ে যেতে সহায়তা করছে কিনা, সেগুলো আমরা জানতে চাই। আমাদের দাবি হলো, এক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করতে হবে।'
স্ত্রীর ধারালো অস্ত্রের
আঘাতে প্রাণ গেল
রিকশা চালকের
ম কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঢাকার কেরানীগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এক অটোরিকশা চালকের মৃতু্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম নয়ন (২৫)
বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় বুধবার রাতে নিহতের প্রথম স্ত্রী শাহানা আক্তার বাদী হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিনকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত নয়ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার নহরী গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে। তিনি কেরানীগঞ্জের কদমতলী গোলাম বাজার এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিনকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালাতেন।
প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আরও বলেন, বুধবার সকালে বাসায় পারিবারিক কলহের জেরে নয়নের সঙ্গে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে স্ত্রী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে নয়ন গুরুতর আহত হন। প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রম্নত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।'
নিহতের লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে আইনি প্রক্রিয়ায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ওসি বলেন, 'ঘটনার পর থেকেই নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'