বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বায়ুদূষণে রাজধানী ঢাকার অবস্থান ছিল পঞ্চম। এ সময় আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে ঢাকার স্কোর ছিল ১৪৪। বাতাসের এই মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর' বলে বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে আছে বয়স্ক, অসুস্থ, গর্ভবতী নারী ও শিশু।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল পাকিস্তানের লাহোর। এই শহরের স্কোর ৫০৩। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ভারতের দিলিস্নর স্কোর ছিল ৩৭৮।
আইকিউএয়ারের মানদন্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।
ঢাকার বায়ু বুধবার ছিল অস্বাস্থ্যকর। এই বায়ু যেকোনো মানুষের জন্যই ক্ষতিকর। এদিন ঢাকা ও আশপাশের যে তিন অঞ্চলের দূষণ পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত বেশি খারাপ, সেগুলোর মধ্যে আছে আইসিডিডিআরবি, আরামবাগ ও হেমায়েতপুর এলাকা।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতি ক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। বুধবার ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডবিস্নউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ বেশি।
এ পরিস্থিতিতে আইকিউএয়ারের পরামর্শ হলো, ঘরের বাইরে গেলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম যতটা সম্ভব এড়াতে হবে এবং ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।