শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১

চট্টগ্রামে আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে বিচারকের বিতন্ডা

চট্টগ্রাম বু্যরো
  ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রামে আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে বিচারকের বিতন্ডা

একটি মামলার আবেদনের শুনানিতে বাদীর আইনজীবীর সঙ্গে বিতন্ডার ঘটনার পর বিচারকাজ স্থগিত রেখেছেন চট্টগ্রামের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারকরা। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারককে বদলি করার দাবিতে বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভও করছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর হাকিম মো. অলি উলস্নাহর আদালতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পিপি মো. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাকের সঙ্গে ওই ঘটনা ঘটে। তিনি বাদীর আইনজীবী হিসেবে এদিন শুনানিতে অংশ নেন।

বাক-বিতন্ডার পর হাকিম অলি উলস্নাহ এজলাস থেকে নেমে ঘটনার বিষয়ে মুখ্য মহানগর হাকিমকে অবহিত করেন। কিছুক্ষণ পর মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের অধীন ১০ জন বিচারকের সবাই এজলাস ছেড়ে যান।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এএএম হুমায়ন কবীর বলেন, 'একটি মামলার ফাইলিংয়ের বিষয়ে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে একজন বিচারকের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবরা আর কেউ চেয়ারে নেই।'

ঘটনার বিষয়ে আইনজীবী আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক বলেন, '১৭ জুলাই মুরাদপুরের ঘটনায় আহত সোয়েব ইমরানের একটি মামলার আবেদন নিয়ে আমরা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর আদালতে যাই। বাদীর পিঠে এখনো গুলির ক্ষত আছে। সব জানিয়ে মামলাটি যাতে থানায় এফআইআর হিসেবে নেওয়া হয়, সেই আদেশ চেয়েছিলাম। এরপর নিয়ম অনুসারে বাদী শপথ নিয়ে আদালতকে ১২-১৪ জন আসামির নাম বলেন। কিন্তু বিচারক বাদীর কাছে সব আসামির নাম জানতে চান।'

জেলা পিপি আশরাফ বলেন, 'তখন আমি বলি, এত নাম বলা সময়ের ব্যাপার। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের নাম দেওয়া হয়েছে। সব নাম তো আসামি বলতে পারবে না। এরপর আবারও আদেশ চাই।'

এরপর বিচারক বলেন, 'আমার কাজ আমাকে করতে দেন।' তারপর তিনি মামলার আবেদনটি তদন্তের জন্য পুলিশ বু্যরো অব ইনভেস্টিগেশনকে আদেশ দেন। আদেশ পেয়ে আমি কৃতজ্ঞতাও জানাই।

এ সময় তিনি বলেন, 'আমার কোর্টে জোর খাটানোর চেষ্টা করবেন না'। তখন আমি বলি, 'জোর কোথায় খাটালাম?'

আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আশরাফ বলেন, 'এরপর এজলাস থেকে নেমে তিনি সিএমএম (মুখ্য মহানগর হাকিম) মহোদয়ের কাছে যান। তারপর সিএমএম আদালতের সব বিচারক নেমে গেছেন। উনার (ম্যাজিস্ট্রেট) বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। সমিতির পক্ষ থেকে আমরা উনার আদালত বর্জন করলাম। সিএমএম মহোদয়কে দুদিন আগেও টেলিফোনে আমি জানিয়েছি, এই ম্যাজিস্ট্রেট মিসবিহ্যাভ করেন। এ সপ্তাহর মধ্যে উনাকে এখান থেকে সরিয়ে নিতে হবে। তা না হলে আমরা আদালত বর্জন করব।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে