আমরা পার্শ্ববর্তী দেশের গোলাম হয়ে থাকতে চাই না :হাফিজ
প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি ডেস্ক
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, আমরা একটা স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করতে চাই। আমরা কেউ পার্শ্ববর্তী দেশের গোলাম হয়ে থাকতে চাই না। জুলাই অভু্যত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা আবার যে স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছি, সেটিকে হেলায় হারাতে চাই না।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলের নেতাকর্মীদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এ আলোচনা সভায় আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, ১৭ বছর ধরে এমন এক স্বৈরাচার শাসক আমাদের ঘাড়ে চেপে বসেছিল ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সেই স্বৈরাচার ভারতে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, একাত্তরে জাতির যারা বড় নেতা ছিলেন, তারা গর্তে বা পার্শ্ববর্তী দেশে লুকিয়ে ছিলেন। স্বাধীনতাকামী মানুষ সেদিন জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। আওয়ামী লীগ কখনো কাউকে কৃতিত্ব দিতে জানে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, বিতাড়িত স্বৈরাচারী শক্তি ভারতে বসে নতুন করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে ভয়ঙ্কর গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নাকি পাওয়া যাচ্ছে না, কারও কাছে নাকি নেই তার পদত্যাগপত্র। এর মধ্য দিয়ে একশ্রেণির মানুষকে বোঝানো হচ্ছে, শেখ হাসিনা এখনো বৈধ প্রধানমন্ত্রী। এর চেয়ে বড় মিথ্যাচার আর হতে পারে না।
'শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করেছে বাংলাদেশ সরকার। তিনি যে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, তাকে অন্য দেশে পাচার করছে সেই রাষ্ট্র। এরপর পদত্যাগপত্রের কি প্রয়োজন আছে'- প্রশ্ন রাখেন বিএনপির এ নেতা।
একাত্তরের রণাঙ্গণের এ মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ব্যালটের রাজনীতি ছাড়া আওয়ামী লীগের মধ্যে স্বাধীনতার ঘোষণার কোনো মানসিকতাও ছিল না। ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ হরতাল ডেকেছিল। তাজউদ্দীন আহমদ বারবার স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু শেখ মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি। স্বাধীনতা ঘোষণা করলে বিচ্ছিন্নতাবাদী হবেন! পাকিস্তান সরকারের বিচারের মুখোমুখি হবেন- এমন কথা বলেছিলেন শেখ মুজিব। তিনি বলেন, শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়নি। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন মেজর জেনারেল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তার নেতৃত্বে জনতা মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এরপর ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস মুছে ফেলে।
স্বৈরাচার চলে গেলেও তার টিমের রাষ্ট্রপতি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন মন্তব্য করে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, অন্তর্র্বর্তী সরকার হয়তো জানে না, কোনোভাবে বাংলাদেশের মানুষের জনজীবনে দুর্যোগ নেমে এলে বা টালমাটাল হলে, এই ব্যক্তি আবার শেখ হাসিনার বন্দনায় নেমে পড়বেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন, ১৭ বছর ধরে নির্যাতন ও জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন, তাদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেন। দেখেবেন, রাতে যারা মিছিল করে 'বারবার দরকার শেখ হাসিনা সরকার', তারা আর বের হওয়ার সাহস পাবে না।
মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, 'অন্তর্র্বর্তী সরকারের উপদেষ্টামন্ডলীতে অনেক দুর্বল লোক আছে, আওয়ামী প্রীতির মানুষও আছে, এদের সরিয়ে দিন। শুধু পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা মানুষ দিয়ে দেশ পরিচালনা করা যায় না, এরা মানুষের সঙ্গে কখনো মেশেনি। মানুষের জন্য কখনো কাজ করেনি। এরা ক্ষমতা ভোগ করতে এসেছে। একটি সুন্দর সরকার গঠন করে বাংলাদেশকে আবার ট্র্যাকে নিয়ে আসুন। বাংলাদেশ লাইনচু্যত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, ইউনূস এদেশের কৃতি সন্তান, তাকে সম্মান করি। বিএনপি ও জনতার তার প্রতি সমর্থন আছে। সংস্কারের জন্য বেশিদিন সময় নেওয়া যাবে না। নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগ সংস্কার হলেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সব বিষয় সংস্কার করবে।
গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে যত মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারে অন্তর্র্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান তিনি।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমরা চাই না এই সরকার ব্যর্থ হোক। এই সরকার ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়ে যাবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র সফলকাম হয়ে যাবে। আমরা কারও গোলাম হতে চাই না, আমরা সিকিম হতে চাই না। আমরা অবশ্যই চাইব ড. ইউনূসের সরকার সফল হোক।
বাংলাদেশ বিরাট ষড়যন্ত্রের মধ্যে নিমজ্জিত মন্তব্য করে হাফিজ বলেন, এদেশের ঐক্য ও স্বাধীনতা বিনষ্ট করতে, মানুষের জীবনে আবার দুর্যোগ নামাতে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তার প্রমাণ, জনধিকৃত ও বিতাড়িত ব্যক্তিরা ভারতে বসে দেশ ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ ষড়যন্ত্র থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে।
আনুপাতিক নির্বাচন চাওয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশের সংবিধান ৭১ ও ৭২ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আজ পর্যন্ত কনস্টিটিউশন ভিত্তিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া রয়েছে। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কোনটি হবে। কোনোভাবেই কোনো ব্যক্তির ওপর চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। জনগণের মত ও অধিকারকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। বিএনপি মনে করে কনস্টিটিউশন ভিত্তিক যে নির্বাচন প্রক্রিয়া তা অব্যাহত থাকবে। ৩১ দফায় বলা আছে আমরা কী ধরনের সংস্কার চাই।
'ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেন'
এদিকে, অন্তর্র্বর্তী সরকারকে দ্রম্নত নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, তাদের বলব জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেন।
সোমবার শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমদসহ অন্য নেতাদের দেশে আগমন উপলক্ষে এদিন জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
আগামী সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে আসা প্রস্তাবের প্রসঙ্গে জাহিদ বলেন, আজ অনেকে বলেন সংখ্যানুপাতিক অনুযায়ী নাকি সংসদে আসন থাকতে হবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়া পর থেকে সংসদীয় আসন অনুযায়ী নির্বাচন হয়ে আসছে। এখানে কেউ চাইলে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি চাপিয়ে দিতে পারবে না। জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কোন প্রক্রিয়া নির্বাচন হবে।
'সংবিধান অনুযায়ী যে নির্বাচন পদ্ধতি বাংলাদেশে আছে, সেটি অব্যাহত থাকবে বলে মনে করে বিএনপি। বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া ৩১ দফায় লিখিত আছে, বিএনপি কী ধরনের সংস্কার চায়। সেই ৩১ দফা বাস্তবায়নের জন্য আমরা অন্তর্র্বর্তী সরকারকে বলব দ্রম্নত নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন।' বলেন এই বিএনপি নেতা।
দেশে গুজব রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারতে একটি সমাবেশ করবেন, এই বিষয়ে বিএনপির মন্তব্য কী জানতে চাইলে জাহিদ বলেন, ভারত একটি স্বাধীন দেশ। ভারত তার দেশকে অন্য দেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জন্য দেবে, এটা আমার মনে হয় না। ভারতের রাজনীতিবিদ ও সরকার এত বোকা বলে আমি বিশ্বাস করি না। যারা এই ধরনের খবর ছড়াচ্ছেন তারা মাঠ গরম করার জন্য এগুলো করছেন। বাস্তবে তারা মাঠে নামুক, দেখুক জনগণ তাদের গ্রহণ করে কি না।
'বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে'
এদিকে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এবং বিএনপিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা করছেন তাদের আমি সতর্ক করব।
বিএনপিকে যদি কার্যকর ভূমিকার বাইরে নিয়ে যেতে চান। তাহলে ফ্যাসিবাদ সামনে আসবে। বিএনপিকে যদি রুখতে চান। তাহলে কার্যকরভাবে ফ্যাসিবাদকে অভিনন্দন জানাতে হবে। এজন্য বলেছি এদেশের অন্যান্য যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে তাদের সঙ্গে নিয়ে আমাদের নেতা তারেক রহমান আগামীতে পথ চলতে চান।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের উদ্যোগে জাতীয় নির্বাচন, নাগরিক ভাবনা, জাতীয় সংলাপ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্র্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে দুদু বলেন, ফ্যাসিবাদের প্রধান পালিয়েছেন, তার মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা পালিয়েছেন। তার কর্মীরা যারা প্রশাসনে ছিলেন তারা সেভাবে আছেন। সচিবরা সেভাবে আছেন। আমার দেখা মতে দুদকেও কোনো পরিবর্তন হয়নি।
ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, আমরা এ সরকারকে সমর্থন দিয়েছি ভালো কাজ করার জন্য। একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার জন্য যেখানে যা সংস্কার করা দরকার করতে হবে। তবে একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো ভালো কাজ এগিয়ে নেওয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না। বর্তমান সরকারের যারা আছেন তারা বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ একটা ভালো কাজের জন্য এসেছেন। তাদের আমরা নির্বাচনের কথা বলেছি। তার মানে এ নয়, কালই নির্বাচন দিতে হবে। কিন্তু নির্দিষ্টকরণ করতে হবে। যে কারণে আমরা নির্বাচনের রোড ম্যাপের কথা বলেছি।
অন্তর্র্বর্তী সরকার ও বিরোধীদলগুলোকে সতর্ক হতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, চারদিকে শুধু দেশের মধ্যে নয় বিদেশ থেকেও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যদি ফ্যাসিবাদ আবার আসে তাহলে এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের কি হবে এটা বলে শঙ্কিত করতে চাই না।
'আ'লীগের দোসররা মহড়া দিচ্ছে'
এদিকে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসররা তাদের কালো টাকা ও বেআইনি অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। তারা মহড়া দিচ্ছে।
সোমবার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী শহীদ শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এ সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, মানুষ দু-মুঠো যাতে খেতে পারে এজন্য বাজার সিন্ডিকেট, মার্কেট সিন্ডিকেট যারা এতদিন ধরে করে রেখেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করুন। আমরা অল্প কিছু ড্রাইভ দেখতে পাচ্ছি, ব্যাপক ড্রাইভ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। গণতন্ত্র হলো শান্তির পথে মানুষ যাতে বসবাস করতে পারে এবং খোলা গলায় যাতে মানুষ সমালোচনা করতে পারে, কথা বলতে পারে এটাই তো গণতন্ত্র। আইনের শাসন থাকবে কে কোন দল করে সেটা বড় কথা নয়। যে অন্যায় করবে তাকেই পুলিশ ধরবে, এটাই গণতন্ত্র।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন না, নির্বাচন গণতন্ত্রের একটি উপাদান। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন একটি উপাদান। সেখানেও একটি জটিলতা দেখছি। আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করুন। যাতে মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দমতো ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের লোকজন গুলাগুলি করেছে। আওয়ামী লীগের লোকজন জন-অরণ্যের মধ্যে লুকিয়ে থেকে প্রয়োজনমতো বের হয়ে তারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে। যে কারণে অন্তর্র্বর্তী সরকারকে বিএনপি বারবার চাপ দিয়ে আসছে। যদি ফ্যাসিবাদের পুনর্জীবন ঘটে তাহলে এর দায় তাদের নিতে হবে।
তিনি অন্তর্র্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের এত দিন পার হলেও বেআইনি কোনো অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছেন না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা।