এনবিআর'র বরখাস্ত তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি
প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
বেআইনি সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ী এস আলমের দুই ছেলের আয়কর নথিতে জালিয়াতির দায়ে বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম। দুদক সূত্রে জানা গেছে, আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের কর কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুর রকিব এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদনের তথ্য মতে, এস আলমের ছেলে আশরাফুল আলম ও আসাদুল আলম ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭৫ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন। কর ফাঁকি দেওয়ার কাজে সহযোগিতা করেন ঢাকা কর অঞ্চল-১৪ এর যুগ্ম কর কমিশনার একেএম শামসুজ্জামান, চট্টগ্রাম কর আপিল অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম ও চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-২ এর সহকারী কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চলতি বছরের ১৫ অক্টোবর অর্থ মন্ত্রণালয় ওই তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করে। বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তাই ২০২০-২১ অর্থবছেরে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-১ এ কর্মরত ছিলেন। কর ফাঁকি দিতে ওই তিন কর্মকর্তা ও তৎকালীন এস আলম গ্রম্নপ নিয়ন্ত্রিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তা ৫০০ কোটি কালো টাকা সাদা করার নাটক সাজায়।
সেই নাটক সাজানোর জন্য তারা ভুয়া পে-অর্ডার দিয়েছিলেন এস আলমের দুই ছেলের নামে। এ ঘটনায় চলতি বছরের ২০ সেপ্টেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির সুপারিশে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ গত ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য চিঠি দেয়। দুদকের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এজন্য দুদক এনবিআরকে বরখাস্ত থাকা তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছে।
তদন্তে আরও উঠে আসে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখার কর্মকর্তাদের চাপ দিয়ে পে-অর্ডারের তারিখ পরিবর্তন করান এস আলমের দুই ছেলে।