বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেছেন, দেশ থেকে ফ্যাসিবাদীরা পালিয়ে গেলেও ফ্যাসিবাদের মূল এখনো রয়ে গেছে। যদি এটিকে চূড়ান্তভাবে নির্মূল করতে না পারি তাহলে আমাদের লক্ষ্য অর্জন হবে না। কারণ ফ্যাসিবাদকে সুযোগ দেওয়া মানে শত শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত 'গণমাধ্যম ও ফ্যাসিবাদ উত্তর বাংলাদেশ' শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, 'কারা ফ্যাসিবাদের দালাল তা আমরা জানি। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে প্রশংসা করত, অথচ কোনো প্রশ্ন করত না। তেল মেরে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিত। মনে হতো প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন যেন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান!'
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রসঙ্গে বিএফইউজে মহাসচিব বলেন, এই প্রেস ক্লাবও ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত হতে হবে। যারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেছেন তাদের নিয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু যারা সব নিয়মনীতি ভঙ্গ করে স্বৈরাচারের দালালি করেছেন তাদের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। প্রয়োজনে বিএফইউজে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে।'
'সাগর রুনি হত্যার বিচার যেসব বিশ্বাস ঘাতকদের কারণে এখনো হয়নি তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে' বলে মন্তব্য করেন তিনি। পাশাপাশি দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলা ও প্রতিথযশা সাংবাদিক শফিক রেহমানের নির্যাতনের শিকার হওয়া নিয়ে তৎকালীন কোনো মিডিয়া তেমন ভূমিকা রাখেনি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন দৈনিক কালের কণ্ঠের বু্যরো প্রধান মুস্তফা নঈম, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুলস্নাহ আল মাহমুদ, সাংবাদিক মাঈনুদ্দীন কাদেরী শওকত, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, রফিকুল ইসলাম সেলিম, হাসান মুকুল, শহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম, মাহবুব রশিদ, কামরুল হুদা, ওয়াহিদ জামান, সোহাগ কুমার বিশ্বাস, নুরুল আলম মিন্টু, মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, শাহ নেওয়াজ রিটন ও মজুমদার নাজিম উদ্দীন।