শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১

প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক নিয়োগ

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
চট্টগ্রাম বু্যরো
  ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
প্রয়োজনে সিস্টেম ভেঙে নতুন লোক নিয়োগ

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, 'এখনো আপনাদের (প্রশাসন) অসহযোগিতার কারণে যে স্থবিরতা আছে এটার জন্য গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত আমাদের সর্বশেষ ক্যাবিনেট মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের হয়তো অনেক কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। সিস্টেম ভাঙার প্রয়োজন পড়লে আমরা সিস্টেম ভাঙব। প্রয়োজনে নতুন নিয়োগ নিয়ে

এই জায়গাগুলোতে নতুনদের বসাব।'

শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, 'প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা থাকার পরও যদি আপনারা করতে না পারেন তাহলে নতুনদের আমরা নিয়ে আসি। আপনাদের রেখে আমরা কি করব। বুদ্ধিভিত্তিক অনেক কথা মানুষ বোঝে না। কিন্তু যেটা বুঝে, আমি সকালে খাব কী, দুপুরে খাব কী, রাতে খাব কী? আমার সন্তান কী খাবে? যেগুলো একদম জনসম্পৃক্ত, জনগণের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত এই বিষয়গুলোতে আমাদের অবশ্যই তৎপর হতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ে আপনারা বলছেন- ভোক্তা অধিকারের আইন কঠোর না কিন্তু আমাদের তো বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকের বিধান আছে। তাহলে সিন্ডিকেটে যারা আছে তাদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে নিয়ে আসতে হবে।'

তিনি বলেন, 'আপনারা যদি ভালো একটা কাজ করতে গিয়ে কারো বাধার সম্মুখীন হন তাহলে আমি নিশ্চিত- জনগণ গিয়ে উচিত শিক্ষা দিয়ে আসবে। তারপরও আপনারা কেন কাজ করছেন না, কেন সদিচ্ছাটা নেই, আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। কেউ যদি কাজ না করে, জবাবদিহি দিতে ব্যর্থ হয় তাকে আমাদের প্রয়োজন নেই।'

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে কর্মকর্তাদের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, 'টাস্কফোর্স বা ভোক্তা অধিকার আপনারা কয়টা অভিযান পরিচালনা করেছেন, কী পরিমাণ কাজ করেছেন সে বিষয়ে আমি কিছুই পাইনি। আমাকে বাণিজ্য সচিব তিন দিনের টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন। আমি সেই প্রতিবেদেন একদিন চট্টগ্রামের নাম পেয়েছি, বাকি দুই দিন আপনাদের নামই নেই। ৪০-৪৫টা জেলার মধ্যে টাস্কফোর্সের অভিযান করেছে কিন্তু চট্টগ্রামে তিন দিনের মধ্যে দুই দিনই কোনো অভিযানই হয়নি। আমার মনে হয় এই জায়গায় আপনাদের সদিচ্ছার ঘাটতি আছে কিংবা সরকারের প্রতি অসহযোগিতার একটা ব্যাপার আছে।'

এর আগে উপদেষ্টা চট্টগ্রাম জহুর আহাম্মদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও এমএ আজিজ স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে সকাল ৯টায় সাগরিকায় জহুর আহাম্মদ চৌধুরী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গিয়ে তিনি স্টেডিয়াম গ্রাউন্ড, গ্যালারি ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি কাজীর দেউড়ি এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে এসে বিভিন্ন অবকাঠামো ঘুরে দেখেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে আশু ব্যবস্থা নিয়ে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু করতে বলেন উপদেষ্টা। বিপিএলের আগেই সংস্কার কাজ শেষ করতে তাগিদ দেন আসিফ মাহমুদ। অবশ্য দুটি স্টেডিয়াম পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। পরে তিনি চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম জেলা ও বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

এছাড়া ক্রীড়া উপদেষ্টার ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক স্ট্যাটাসে বলা হয়, আফসোসের নাম চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম। ১৯ বছর আগে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ এখানে হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণ নেই, মাঠের বেহাল অবস্থা। গ্যালারি, মাঠ কিংবা প্রবেশপথ, তাকানো যাচ্ছে না কোনোদিকেই। বিপিএলের সময় বিদেশি ক্রিকেটাররা এখানেও আসেন অনুশীলন করতে। এবার সংস্কারের ছোঁয়া পড়বে এখানেও।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে