রাষ্ট্র সংস্কার করে দ্রম্নত নির্বাচন দিন : রিজভী
প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
যাযাদি রিপোর্ট
রাষ্ট্র সংস্কার করে দ্রম্নত নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা জনগণের কাছে হস্তান্তর করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার দুপুরে ঢাকার জুরাইন বিক্রমপুর পস্নাজার সামনে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের তরফ থেকে আয়োজিত সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রের মূল ক্ষমতার মালিক জনগণ। তাই রাষ্ট্রের ক্ষমতা জনগণের কাছেই হস্তান্তর করা উচিত। তবে তার আগে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার করা দরকার। সংস্কার দ্রম্নত করতে হবে। সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ সমীচীন হবে না। সংস্কারের পরই দ্রম্নত সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা উচিত। সেক্ষেত্রে কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতা আসবে কি আসবে না তা দেখার বিষয় নয়। সরকারের উচিত নিরপেক্ষ ও শতভাগ সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা।
তিনি আরও বলেন, 'ভয়ংকর ডেঙ্গু শেখ হাসিনা' বিদায় নিয়েছে, তবে ফিরে এসেছে প্রকৃত ডেঙ্গু রোগ। তাই এই রোগ থেকে
রক্ষা পেতে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। যাত্রাবাড়ীসহ পুরো এলাকাটি এক সময় জলাবদ্ধতা ছিল। শেখ হাসিনা সরকারের সেদিকে কোনো লক্ষ্য ছিল না। ক্ষমতাচু্যত সরকারের জনসেবা ছিল না। তাদের উদ্দেশ্য ছিল জনগণের টাকা লুটে বিদেশে পাচার করা। জনশক্তি থেকে শুরু করে এমন কোনো সেক্টর ছিল না, যে সেক্টরে আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেট ছিল না। সিন্ডিকেট সদস্যরা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রতিরাতে ঢাকার কারওয়ান বাজারে ৫০ কোটি টাকার চাঁদাবাজি হতো। সেখানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে এটিই স্বাভাবিক। অথচ এখনো দাম বাড়ছে। আপনারা কি করেন? এতদিনেও সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছেন না। জনগণ তো বলবেই, শেখ হাসিনার সময় জিনিসপত্রের দাম বাড়ত এখনো বাড়ছে। তফাতটা কী?
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সাবেক এমপি আলহাজ সালাহ উদ্দীন আহমেদ বলেন, বিগত প্রায় ১৬ বছর তিনি ও তার পরিবার এবং তার দলের নেতাকর্মী নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন। তিনি ও তার ছেলেসহ বহু নেতাকর্মীকে বিনাকারণে জেলে যেতে হয়েছে। বাড়িঘরে থাকতে পারেননি। মানসিক ও আর্থিকভাবে তারা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যা কোনোদিনই পূরণ হওয়ার নয়। মিথ্যা মামলায় অসংখ্যবার জেলে যেতে হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ক্যাডাররা ঘরে থাকতে দেয়নি। বিএনপি কোনো কর্মসূচি ডাকলেই আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও ক্যাডাররা রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাঠিসোটা নিয়ে বেঞ্চ ও চেয়ার পেতে অবস্থা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধর করত। এতটা জুলুম অত্যাচার অতীতে কোনো সরকারের আমলে করা হয়নি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন ও প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনসহ অন্যরা।