বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গাজীপুর কাশিমপুর কারাগারে হামলা ও ভাঙচুরের সুযোগে জেল পালানো সেই আলোচিত খুনীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিট। জেল পালানোর পর থেকেই ছদ্মবেশ ধারণ করেছিল মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত খুনী সাজেদুল ইসলাম। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
শুক্রবার এটিইউ-র একটি দল গোয়েন্দা তথ্যের সূত্রধরে ঢাকার কদমতলী থানাধীন দক্ষিণ দনিয়ার গোয়ালবাড়ি মোড় থেকে সাজেদুলকে (২৭) গ্রেপ্তার করে।
এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এটিইউ-র মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস উইংয়ের পুলিশ সুপার ব্যারিস্টার মাহফুজুল আলম রাসেল। তিনি যায়যায়দিনকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চলতি বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতন হয়। পরদিন অর্থাৎ ৬ আগস্ট গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হামলা ও ভাঙচুরসহ বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমন সুযোগে কারাগার থেকে বহু আসামি পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া আসামিদের বিষয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ি থানায় একটি মামলা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, পলাতক আসামিসহ অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। সেই অভিযানেই গ্রেপ্তার হয় পালিয়ে যাওয়া আসামিদের একজন সাজেদুল। জেল থেকে পালানোর পরেই সাজেদুল ছদ্মবেশ ধারণ করে। যাতে গ্রেপ্তার এড়ানো সম্ভব হয়। সাজেদুলকে কোনাবাড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সাজেদুলের পিতার নাম মন্টু শিকদার (মৃত)। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া থানাধীন চরকুশলী গ্রামে।
প্রসঙ্গত, সাজেদুল ইসলাম একটি খুনের মামলায় মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্ত আসামি। ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর আর্থিক লেনদেনের সূত্রধরে সাজেদুল তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে গোপালগঞ্জ জেলার লুৎফর মোলস্না নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই মামলায় গত বছরের ১০ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলা আদালত গ্রেপ্তার সাজেদুলসহ তিন জনকে মৃতু্যদন্ড ও প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকেই সাজেদুল কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি জেলে বন্দি ছিল।