বাজারে যারা কারসাজি করে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় তাদের চক্র ভাঙতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এসব সিন্ডিকেট প্রতিদিন 'নতুন নতুন পদ্ধতি' আবিষ্কার করে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, 'সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য এই সরকারের সদিচ্ছার কোনো অভাব নেই। শুধু তথ্য-উপাত্ত আর আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। পরিবর্তন হচ্ছে, এটা আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন।'
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) চত্বরে ফসল ডট কম লিমিটেডের 'ন্যায্যমূল্যে অত্যাবশ্যকীয় কৃষিজাত দ্রব্যাদি বিক্রয় কার্যক্রম'-এর উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
সিন্ডিকেট ভাঙার কৌশল নিয়ে তিনি বলেন, 'তাদের দৌরাত্ম্য আমরা ভাঙব। পাশেই যখন ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমে বিক্রি হবে, তখন এমনিতেই চাপ সৃষ্টি হবে। যারা সিন্ডিকেট করে, তারা ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু তাদের রুখতে হবে। ইতোমধ্যে ডিমের বাজার দেখেছেন, আমরা এর দাম কমিয়ে এনেছি। ফসল ডটকম কম মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি করবে। সিন্ডিকেট ভাঙতে ফসল ডটকম আজ এই কার্যক্রম পরিচালনা করছে।'
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন বলেন, 'আপনারা পথে কোথাও যদি দেখেন চাঁদাবাজি হচ্ছে, আমাদের জানাবেন। আমরা দ্রম্নততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেব। আর ফসল ডটকম একটা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। তারা কৃষকের কাছ থেকে কিনে এনে কম দামে বিক্রি করছে। তাদের মতো আরো কেউ যদি এমন উদ্যোগ নিয়ে আসে, তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা থাকবে।'
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, 'কৃষক কিন্তু টাকা খুব বেশি পান না। টাকার নয়ছয় করে মাঝখানের লোকেরা। যত সিন্ডিকেট আছে সেসব ভেঙে দেব, জনগণের জন্য একটা বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গড়ব।'
ফসল ডটকম প্রতি হালি লেবু ২০ টাকা; প্রতি কেজি চাল কুমড়া, ঢেঁড়স ও কচুরমুখি ৭০ টাকা দরে বিক্রি করছে।
এছাড়া পটোল, শসা, ঝিঙে, পেঁপে ও লাউ কিনছে ৬৫ টাকা দরে, কাঁকরোল ও করলা ৯০ টাকা দরে, টমেটো ২৪০ টাকা কেজি এবং প্রতিটি বাঁধাকপি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান এবং টিসিবির চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা ইকবাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।