আজকের যায়যায়দিন

গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে ঠাঁই দেওয়া হবে না। এর দোসরদের ঠাঁই দেওয়া হবে না। তারা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা কায়েম করে দেশকে ধ্বংস করেছে। তাই নতুন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এর দোসরদের নিষিদ্ধ করতে হবে।

বুধবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা উড়াল সড়কের নিচে গণ-অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নুর আরও বলেন, এ দেশে নির্বাচন করার অধিকার ছিল না, মুক্ত চিন্তা করার অধিকার ছিল না। সন্ত্রাস, লুটপাট চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য রাজনীতিকে একটি দুর্বৃত্তায়নের পরিণত করেছিল। আমরা এ অবস্থার পরিত্রাণ ঘটাতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে সজাগ থাকতে হবে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদ যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে।

তিনি বলেন, এই দেশের সাধারণ মানুষ, ছাত্র শ্রমিক জনতা বারবার রক্ত দিয়েছে, সংগ্রাম করেছে, কিন্তু 'যেই লাউ সেই কদু' হয়েছে। '৭১-এ এই দেশের কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, স্বাধীনতা এনেছিল। কিন্তু আমরা দেখেছি, স্বাধীনতার পরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে একটি লুটেরা শ্রেণি একটি মাফিয়াদের উদ্ভব হয়েছিল। যারা কোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে সেই সময়ে জিম্মি করেছিল, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে হত্যা করেছিল, দেশের একটা নৈরাজ্য কায়েম করেছিল, একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল- আবার যখন ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসেছিল আমরা ভেবেছিলাম তাদের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছিল, ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে মনে করেছিলাম অতীতের প্রায়শ্চিত্ত করে মনে হয় একটু ভালো হবে, উল্টো তারা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা কায়েম করে দেশকে ধ্বংস করেছে। তাই নতুন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এর দোসরদের নিষিদ্ধ করতে হবে। নিষিদ্ধের বিষয়ে বিএনপি-জামায়াতসহ সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে কোনো ঠাঁই দেওয়া হবে না। এর দোসরদের ঠাঁই দেওয়া হবে না।

বিএনপির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে নুর বলেন, আপনারা আদালতে জিপি, পিপি, এপিপি বিচারক নিয়োগে প্রতিযোগিতা করছেন, অথচ গণহত্যাকারীদের আদালতে ঠেকাতে পারছেন না কেন?

বর্তমান সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু নির্বাচনের জন্য আপনাদের বসানো হয়নি, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রকে গণতান্ত্রিক কাঠামো দিয়ে সংস্কার করে নির্বাচন দেবেন, জন-আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কাজ করলে দেশের মানুষের সমর্থন পাবেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষের কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে এ নেতা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা ও অতিবৃষ্টিতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। তাই খাদ্যপণ্যে ভর্তুকি অব্যাহত রাখার দাবি করেন তিনি।

গণ-অধিকার পরিষদের গাজীপুর জেলার আহ্বায়ক পাঠান আজহারের সভাপতিত্বে গণ-অধিকার পরিষদের নেতা মনির মোলস্নার সঞ্চালনায় পথসভায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা বক্তৃতা করেন।