পুলিশের ৫ ইউনিটে
নতুন প্রধান
ম যাযাদি ডেস্ক
সম্প্রতি পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হওয়া ১০ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজন কর্মকর্তাকে রেলওয়ে পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও নৌ পুলিশের নেতৃত্বে আনা হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট প্রধান হিসেবে অতিরিক্ত আইজিপি পদের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন। সে হিসেবে এই পাঁচ কর্মকর্তা ইউনিটগুলোর নতুন প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হলেন।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিআইজি হিসেবে সিআইডিতে কর্মরত ও অতিরিক্ত আইজি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়া মো. মতিউর রহমান শেখকে অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি), মো. আলমগীর আলমকে পুলিশ সদর দপ্তরে, অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) সরদার তমিজ উদ্দিন আহমেদকে রেলওয়ে পুলিশে, পুলিশ অধিদপ্তরের মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা হাইওয়ে পুলিশে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া, পুলিশ অধিদপ্তরের মো. আবদুলস্নাহ আল মাহমুদকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন), স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নের গোলাম কিবরিয়াকে পুলিশ সদর দপ্তরে, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সেলিম মো. জাহাংগীরকে পুলিশ সদর দপ্তরে, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদকে পুলিশ সদর দপ্তরে এবং সিআইডির উপপুলিশ মহাপরিদর্শক ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত কুসুম দেওয়ানকে নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
টেকনাফে মালয়েশিয়াগামী
৮ বাংলাদেশি ও ১২
রোহিঙ্গা উদ্ধার
ম যাযাদি ডেস্ক
কক্সবাজারে টেকনাফের সাগর উপকূল দিয়ে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে অবস্থানকালে আট বাংলাদেশি, ১২ জন রোহিঙ্গা উদ্ধার এবং তিন দালালকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন শিবিরের এবং বাংলাদেশি নাগরিকরা দেশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
আটক দালালরা হলেন- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার দীল মোহাম্মদের স্ত্রী
লুনা বেগম (৩৬) ও একই এলাকার মো. ইউনুছের ছেলে মো. রিদুয়ান (১৯) এবং সাবরাং
ইউনিয়নের কচুবুনিয়া এলাকার সাকের হোসাইনের ছেলে মো. আব্দুলস্নাহ (২১)।
ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, মধ্যরাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার এক ব্যক্তির বসতঘরে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে বেশ কিছুসংখ্যক রোহিঙ্গাসহ লোকজন জড়ো করার খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বাড়িটি ঘিরে ফেললে ৫-৬ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ধাওয়া দিয়ে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে বসতঘরে তলস্নাশি চালিয়ে নারীসহ ১২ জন রোহিঙ্গা এবং আট জন বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক দালাল ও উদ্ধার হওয়াদের স্বীকারোক্তির বরাতে ওসি বলেন, সম্প্রতি সাগরপথে মানব পাচারে জড়িত সংঘবদ্ধ একটি চক্র হয়ে উঠেছে। আটক দালালরাসহ চক্রটির সদস্যরা উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের মোটা অংকের টাকার বিনিময় মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশে জড়ো করেছিল।
গিয়াস উদ্দিন জানান, আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা এবং উদ্ধার হওয়াদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।