অভিযোগ রুহুল কবির রিজভীর

৮০৩ এসআইর মধ্যে ২০০ জনের বাড়িই গোপালগঞ্জে

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০

বিমানবন্দর/দক্ষিণখান প্রতিনিধি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে বক্তব্য রাখেন -ফোকাস বাংলা
প্রশাসনে এখনো অনেক ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে বলে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'শেখ হাসিনার আমলে নিয়োগ পাওয়া ৮০৩ পুলিশের উপ-পরিদর্শককে বিভিন্ন থানায় পোস্টিং দেওয়া হচ্ছে খবর পাচ্ছি। এরা কেউ নিরপেক্ষ নন। তারা সবাই হাসিনার ক্যাডার। এদের মধ্যে ২০০ পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছে, যাদের বাড়ি গোপালগঞ্জে। এই সব পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। আরও অনেক ঘটনা আছে।' মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় জনসচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব অভিযোগ করেন। অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, 'যে পুলিশ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে শহীদ করেছে সেই সব পুলিশ কীভাবে এখনো প্রশাসনে বহাল আছে? গোপালগঞ্জের মতো জেলার বাসিন্দা পুলিশের ২০০ এসআই কীভাবে এখনো হাসিনার ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করছে? এই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে শেখ হাসিনা ছাত্র-জনতা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালিয়ে, গুম-খুন করে বাংলাদেশকে গণকবরে পরিণত করেছে।' তিনি বলেন, 'প্রশাসনের এসব ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। এছাড়া শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে না।' উত্তরার আজমপুরে আমির কমপেস্নক্সের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের আহ্বানে 'ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং প্রতিরোধে সচেতন হোন' শিরোনামে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। জুলাই-আগস্টে গণ-অভু্যত্থান সফলে ছাত্র-জনতা গুলির মুখে বুক পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন উলেস্নখ করে রিজভী বলেন, 'আন্দোলন চলাকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা ভিডিও দেখিয়ে তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছিল, 'স্যার একজন মরে, আরো দুইজন দাঁড়িয়ে যায়।' এই ধরনের কর্মকর্তাদের পুলিশে বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব দেওয়া হলে তা ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে।' নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দেশের মানুষের চাহিদা অনেক বেশি উলেস্নখ করে অনুষ্ঠানে রিজভী আহম্মেদ বলেন, 'এই সরকারের আমলে মহামারিতে একজন লোকও যেন বিনা চিকিৎসায় মারা না যায়।' কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে উত্তর বিএনপির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদ্য সাবেক সদস্য সচিব জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক পারভেজ রেজা কাকন, রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। আরও উপস্থিত ছিলেন উত্তরের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা আলহাজ মোস্তফা জামান, যুবদলের উত্তরের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিয়াজ, স্বেচ্ছাসেবক দল উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ খোকন প্রমুখ।